দাম্পত্যে তৃতীয় ব্যক্তির আগমনের কারণে সম্পর্ক নষ্ট হওয়া নিয়ে প্রতিদিন কয়েকশো মামলা দায়ের হয় আদালতে। এবার স্বামীর পরকীয়া সম্পর্কের জেরে স্ত্রীর উপর তার প্রভাব নিয়ে অদ্ভুত পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court)। আদালত জানিয়েছে যদি শারীরিক বা মানসিক অত্যাচার না করা হয় তাহলে স্বামীর পরকীয়া (Extra marital affair) থাকা মানে তাঁর বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা যায় না। এখানেই শেষ নয়, এমন এক মামলায় এক ব্যক্তিকে জামিন দিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব নারুলা (Sanjeev Narula) বলেন, পণের দাবিতে চাপ দেওয়ার কারণে হওয়া মৃত্যুর সঙ্গে পরকীয়াকে এক করা যায় না।

স্বামীর অন্যের সঙ্গে সম্পর্কের জেরে গার্হস্থ্য অশান্তিতে এক মহিলার মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের তরফে জামাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। সেই মামলায় ৪৯৮-এ (নিষ্ঠুরতা), ৩০৪-বি (পণের চাপে মৃত্যু)-এর মতো ধারায় মৃতার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। শুনানিতে জানা যায় পাঁচ বছরের দাম্পত্য সম্পর্ক থাকার পর ২০২৪ সালের ১৮ মার্চ মৃত্যু হয় তাঁর স্ত্রীর। নিহত মহিলার পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করে বলা হয় তাঁদের জামাইয়ের অন্য একজনের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তাতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে মারধরও করার পাশাপাশি শ্বশুরবাড়িতে পণের জন্য নাকি চাপ দিতেন অভিযুক্ত। এই মামলার শুনানিতে আদালত বলে ওই মহিলা জীবিত থাকাকালীন তিনি বা তাঁর বাপের বাড়ি তরফে এই সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ করা হয়নি। ফলে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল বলেই অভিযুক্ত তাঁর স্ত্রীর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করতেন এটা কোনভাবেই বলা যায় না। এরপরই সংশ্লিষ্ট মামলায় ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর করা হয়।

–

–

–
–

–

–

–

–


–

–

–

–
