ভারতীয় সেনার তরফে প্রেস বিবৃতিতে বড় করে তুলে ধরা হচ্ছে পাকিস্তানের শক্তির পিছনে চিন ও তুরস্কের ভূমিকা। একের পর এক ছবি প্রকাশ করে বলা হচ্ছে ভারতের আকাশ আঘাত হানা ক্ষেপনাস্ত্র অধিকাংশ চিনের তৈরি বা তুরস্কের। সেই তদন্তের ফলাফল প্রকাশ্যে আসতেই বুধবার আচমকা চিন (China) ও তুরস্কের (Turkey) সংবাদ মাধ্যমের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল ব্লক করার পথে যায় মোদি প্রশাসন। যদিও পরেই বিকালে আবার সেই সব অ্যাকাউন্ট খুলেও দেওয়া হয়। একবার ব্লক (block) ও একই দিনে ফের খুলে দেওয়ায় ভারতের নীতি নিয়ে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে। অন্যদিকে আচমকা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্লকের পিছনে আরএসএস-এর (RSS) হাত রয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের শেষে আচমকা রাজনীতির মঞ্চে অবতীর্ণ আরএসএস। পাকিস্তানকে ক্ষেপনাস্ত্র দিয়ে সাহায্য করায় তুরস্ককে স্ট্র্যাটেজিক বয়কটের ডাক আরএসএস-এর শাখা স্বদেশী জাগরণ মঞ্চের সহ-আহ্বায়ক অশ্বিনী মহাজনের। তাঁর দাবি, তুরস্ককে (Turkey) ভারত বিভিন্ন সময়ে কূটনৈতিক সহযোগিতা করেছে। অথচ তাদের তরফে থেকে পহেলগাম হামলারও (Pahalgam attack) কোনও নিন্দা করা হয়নি। এমনকি পাকিস্তানকে অস্ত্র সাহায্য করা দ্বিতীয় দেশ তুরস্ক। তাদের এই বিশ্বাসঘাতকতার নৈতিক জবাবদিহি ও কূটনৈতিক দৃঢ়তার সঙ্গে জবাব দেওয়া উচিত।

বুধবারই তুরস্কের সংবাদ মাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড-এর (TRT World) সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেয় ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। যদিও ফের বিকালে সেই হ্যান্ডেলটি খুলেও দেওয়া হয়। একইভাবে চিনের (China) অন্যতম প্রধান সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমস-কেও (Global Times) সকালে ব্লক করা হয়। পরে বিকালে তা আবার খুলেও দেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবে এই দুই পদক্ষেপেই ভারতের নীতির প্রতি প্রশ্ন উঠেছে। যদি আরএসএস-এর অঙ্গুলি হেলনে অ্য়াকাউন্ট ব্লক করাও হয়ে থাকে তবে একইদিনে তা খুলে দেওয়া হল কেন, উঠেছে প্রশ্ন।

এরই মধ্যে তুর্কির প্রতি দেশের অখণ্ডতার প্রশ্নে স্বাক্ষরিত মউ (MoU) বাতিল করে দিল্লির জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU)। তুর্কির ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের (Inonu University) সঙ্গে তাদের মউ ছিল। দেশের পাশে দাঁড়াতে সেই মউ বাতিলের ঘোষণা করা হয়। যদিও তা সাময়িক সিদ্ধান্ত হওয়ারও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

–
–

–

–

–

–


–

–

–

–
