রাজ্যের বাজারে ফের মিলল জাল ও নিম্নমানের ওষুধের হদিশ। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের সাম্প্রতিক নমুনা পরীক্ষায় গুণমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়েছে ৫১টি জীবনদায়ী ওষুধ। এর মধ্যে সম্পূর্ণ জাল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ৫টি ওষুধ, এবং আরও দুটি ওষুধের স্ট্রিপ নকল করা হয়েছে বলে রিপোর্টে উঠে এসেছে।

ওই সব ওষুধের ব্যাচ নম্বর উল্লেখ করে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে জারি হয়েছে বিশেষ সতর্কতা বিজ্ঞপ্তি। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অবিলম্বে ওই ওষুধগুলি খুচরো ও পাইকারি স্তর থেকে তুলে নিতে হবে। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ড্রাগ কন্ট্রোলের নজরে এসেছে, এই ৫১টি ওষুধের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন রোধকারী ওষুধ, উচ্চ রক্তচাপ, স্নায়ুরোগ ও অ্যালার্জির ওষুধ। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কিছু ওষুধে কার্যকরী উপাদান নেই বললেই চলে। উদাহরণস্বরূপ, নাক-কান-গলার সংক্রমণে ব্যবহৃত একটি অ্যান্টিবায়োটিকে মূল সংক্রমণ প্রতিরোধকারী উপাদানই অনুপস্থিত।

চিকিৎসকদের মতে, এ ধরনের ওষুধ ব্যবহারে রোগ নিরাময় তো হয়ই না, বরং রোগীর অবস্থা আরও জটিল হতে পারে। দীর্ঘদিন এই ধরনের জাল ওষুধ সেবনে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি, এমনকি মৃত্যুর আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ওষুধ উৎপাদক ও বিপণনকারী সংস্থাগুলির দায়িত্বে গাফিলতি ও বেআইনি কার্যকলাপ রোধে আরও কড়া পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এই ঘটনার পর সাধারণ মানুষের মধ্যেও যথেষ্ট উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

ড্রাগ কন্ট্রোলের এক আধিকারিক জানান, “আমরা নিয়মিত বাজার থেকে ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে থাকি। এবার যেগুলি ধরা পড়েছে, সেগুলি অত্যন্ত বিপজ্জনক। জাল ওষুধ তৈরিতে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সচেতনতা বাড়াতে রাজ্য জুড়ে শুরু হতে চলেছে বিশেষ প্রচার অভিযান। রাজ্যবাসীকে সতর্ক করা হয়েছে, ওষুধ কিনতে গেলে অবশ্যই ব্যাচ নম্বর ও মোড়কের খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখার জন্য।

আরও পড়ুন – অ্যাক্রোপলিস মলে মাতৃত্বের জাদুতে মাতোয়ারা শহর, বিশেষ দিনে সম্মানিত হলেন মা ও সন্তানরা

_

_

_


_

_

_

_

_