কেদারনাথের হেলিপ্যাডে নামার আগের মুহূর্তে বড়সড় বিপদের মুখে যাত্রীবাহী হেলিকপ্টার। এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের কাজে নিযুক্ত হেলিকপ্টারটি (helicopter) যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে জরুরি অবতরণ করতে চেয়েও দুর্ঘটনা এড়াতে পারেনি। যদিও হেলিকপ্টারে সওয়ার তিন যাত্রীর কোনও ক্ষতি হয়নি বলে দাবি স্থানীয় প্রশাসনের। তবে হেলিকপ্টারটি ক্রাশ (crash) করে দুটুকরো হয়ে যায়, যা স্বাভাবিকভাবে কেদারনাথ (Kedarnath) তীর্থযাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে।

উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ এলাকার হেলিকপ্টার বিষয়ক আধিকারিক জানান, শ্রীদেবী নামে এক তীর্থযাত্রী শ্বাসকষ্ট অনুভব করায় তাঁকে দ্রুত কেদারনাথ ধাম থেকে নামিয়ে হৃষিকেশে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কেদারনাথে তীর্থযাত্রীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে হৃষিকেশ এইমস-এ (AIIMS, Hrishikesh) নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবহনের জন্য হেলিকপ্টারের (air ambulance) ব্যবস্থাও এইমস থেকেই করা হয়। শনিবার সেই রকমই একটি হেলিকপ্টার অসুস্থ যাত্রীকে নিতে কেদারে পৌঁছানোর সময়ই বিপত্তি হয়।

আধিকারিক জানান, কেদারনাথের হেলিপ্যাডে (helipad) পৌঁছানোর আগেই হেলিকপ্টারে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। হেলিপ্যাডের ২০ মিটার আগেই হেলিকপ্টারটি (helicopter) দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে ভেঙে পড়ে। সেই সময় তাতে সওয়ার ছিলেন একজন চিকিৎসক, একজন নার্স ও হেলিকপ্টারের চালক। লেজের দিকের রোটরটি ভেঙে মূল অংশের থেকে আলাদা হয়ে যায়। তবে তিন আরোহীকে নিরাপদে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানান আধিকারিক।

২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে কেদারনাথে (Kedarnath) এই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স (air ambulance) পরিষেবার উদ্বোধন ঘটা করে করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কিন্তু আদৌ সেই পরিষেবা কতটা সুরক্ষিত, শনিবারের ঘটনায় তা নিয়ে তৈরি হল নতুন আশঙ্কা। পহেলগাম জঙ্গি হামলা পরবর্তীতে দেশের ৩২ বিমান বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হলেও তীর্থক্ষেত্র কেদারনাথে হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু রেখেছিল মোদি সরকার। সেই পরিষেবার ঘটা করে প্রচারও করা হয়েছে প্রতিদিন। আদতে সেই পরিষেবার নিরাপত্তা নিয়ে এবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

–

–
–

–

–

–

–

–

–

–
