মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্যোগে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে বাংলার সুপ্রাচীন জরি শিল্প। বাংলা বিশেষ করে হাওড়ার জরি শিল্প আদতে এক গৌরবময় উত্তরাধিকার। নকশায় মেলে ধরা হস্তশিল্প (zari) আর সুতোর বাঁধনে জড়িয়ে থাকে ইতিহাস এবার নতুন করে বাঁচছে প্রযুক্তির স্পর্শে। দীর্ঘদিনের অবহেলিত শিল্পের পুনরুজ্জীবনে হাসি ফিরছে হাজারও কারিগরের মুখে।
বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে গৌরবময় ঐতিহ্য সমূহের নবজাগরণ ঘটে চলেছে প্রতিনিয়ত। সেইমতোই হাওড়ার প্রাচীন জরি শিল্পের নতুন প্রাণসঞ্চার করেছে রাজ্য সরকার। ঐতিহ্য ও প্রযুক্তির সংমিশ্রণ ঘটিয়ে কারিগর ও শিল্প-গোষ্ঠীগুলিকে স্বাবলম্বী করে তোলার প্রয়াস শুরু হয়েছে। যার ফলে ঐতিহ্যের জরিশিল্পের হাত ধরে গ্রামীণ জীবন ও জীবিকা মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে আবার। সেই সাফল্যের খতিয়ানই তৃণমূল কংগ্রেস তুলে ধরেছে সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে। এই শিল্পের প্রসারে রাজ্য সরকারের সহায়তা মিলেছে পরতে পরতে। ক্লাস্টার ডেভেলপমেন্ট (cluster development) প্রোগ্রামের অধীনে বাংলার সরকার গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে জরি (zari) শিল্পীদের। প্রথম পর্যায়ে ২৬.৪ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে কম্পিউটারচালিত এমব্রয়ডারি (embroidery) মেশিন পরিকাঠামোর জন্য। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৭.৭৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে এমব্রয়ডারি মেশিন ও কর্ডিং ডিভাইসের জন্য।
বাংলার এই ঐতিহ্যবাহী শিল্প ৮০ বছরের বেশি সময় ধরে প্রসারিত হয়েছে। বিশেষ করে হাওড়ার জরি (zari) শিল্প তার সূক্ষ্ম কারুকার্য, মানানসই নকশা ও চোখ-ধাঁধানো হস্তশিল্পের জন্য বিখ্যাত। প্রজন্মের পর প্রজন্ম হাওড়ার সাঁকরাইল, পাঁচলা, উলুবেড়িয়া, বাগনান, ডোমজুর, আমতায় এই শিল্পকে লালন করে চলেছে। আক্ষরিক অর্থেই হাওড়া হয়ে উঠেছে বাংলার জরি হাব। এই নবজাগরণের কেন্দ্রে রয়েছে হাওড়া জরি হাব (Zari Hub) ফেডারেল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড। মোট পাঁচটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কো-অপারেটিভ সোসাইটি নিয়ে গঠিত এই জরি হাব। সাঁকরাইলের কমন ফেসিলিটি সেন্টার স্থানীয় কারিগরদের প্রশিক্ষণ, উৎপাদন ও বিকাশের সহায়তা প্রদানকারী কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে চলেছে।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–