সুপ্রিম রায়ে চাকরি হারিয়েছেন বাংলার প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যের পক্ষ থেকে আইনি লড়াই লড়ছেন। আবার প্রতি মাসের বেতনও বহাল রেখেছেন শিক্ষকদের। অশিক্ষক কর্মচারীদের (Group C, D) জন্য ব্যবস্থা করেছেন ভাতার। তারপরও চাকরিহারাদের একাংশ ধরনায় বসে রাম-বামেদের উসকানিতে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছেন।

এরপরও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধৈর্য্য ধরার বার্তা দিয়েছেন, চাকরিহারাদের পাশে থেকেছেন। এমতাবস্থায় চাকরিহারারারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে (Bratya Basu) চিঠি লিখে দেখা করার প্রস্তাব দিলেন। বিকাশ ভবনের সামনে ধরনা চলাকালীনই মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে খোলা চিঠি লিখে সাক্ষাতের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন চাকরিহারারা। দাবি জানালেন, পরীক্ষার পথে না হেঁটেই যাতে চাকরি সুনিশ্চিত করা যায়, সেবিষয়ে। শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরা মূলত এই মর্মেই আলোচনা করতে চাইছেন।

যোগ্য শিক্ষক চাকরিহারা মঞ্চের তরফে সোমবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে মেল করা হয়েছিল। সেখানেও আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তাঁরা। সেজন্য বুধবার বিকেলে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সময় চেয়েছিলেন। এবার আন্দোলনকারীদের আরেকটি দল খোলা চিঠি লিখে আলোচনা চাইলেন। তাঁদের বিশ্বাস, সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসলেই সমাধানসূত্র মিলবে।

সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে দেওয়ায় প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীর চাকরি নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়। রাজ্যের আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট পরে জানায়, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষকরা স্কুলে যেতে পারবেন। বেতনও পাবেন। তবে অশিক্ষক কর্মীরা আপাতত চাকরিহারা। তাঁদের ভাতার ব্যবস্থা করে রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে আবারও নতুন করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে এসএসসিকে। তবে আর পরীক্ষা দিতে নারাজ ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা। তাই বিকাশ ভবনে টানা অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।

–

–
–

–
–

–

–

–

–

–
