বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে রাত হলেই নারী নিরাপত্তার চেহারাটা ঠিক কেমন দাঁড়ায় তার উদাহরণ একের পর এক মিলেছে। এবার রেয়াত করা হল না ডাক্তারি পড়ুয়া তরুণীকেও। ভিন রাজ্য থেকে ডাক্তারি পড়তে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) গিয়ে গণধর্ষিতা তরুণী। দুষ্কৃতীদের ভয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ারও সাহস পাননি তিনি, প্রশাসনের উপর নির্ভরতা এতটাই কমে গিয়েছে দেবেন্দ্র ফাড়নবিশের (Devendra Fadnavis) মহারাষ্ট্রে। পরে পরিবারের সহযোগিতায় থানায় অভিযোগ দায়ের হলে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশ।
মহারাষ্ট্রের সাংলি (Sangli) এলাকার একটি মেডিক্যাল কলেজের ২২ বছরের পড়ুয়া তরুণী বন্ধুদের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। ১৮ মে রাতের শো দেখতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর দুই বন্ধুর সঙ্গে। সিনেমা হলে যাওয়ার আগে এক বন্ধু নিজের ভাড়া ঘরে তরুণীকে নিয়ে যায়। সেই সময় দুই বন্ধু ও তাঁদের এক বন্ধু মদ্যপ অবস্থায় ছিল। তরুণীকে তারা একটি তরল খেতে দেয়। নির্যাতিতা তরুণীর দাবি, সেই তরলেই মাদক মিশিয়ে (spiked) দেয় অভিযুক্তরা।
অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই ২০ থেকে ২২ বছর বয়সী বলে দাবি পুলিশের। মাদক মেশানো তরল গ্রহণের পর যখন চিকিৎসক তরুণী ঝিমিয়ে পড়েন তখন ওই দুই সহপাঠী ও তাদের বন্ধু তাঁকে গণধর্ষণ (gang rape) করে বলে অভিযোগ। মধ্যরাত পর্যন্ত তরুণীর উপর অত্যাচার চালানো হয়। সেই সঙ্গে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসলে তাঁকে গুরুতর ফল ভোগ করতে হবে বলেও শাসানি দেওয়া হয়। আদতে কর্ণাটকের বাসিন্দা তরুণী হুমকির ভয়ে কিছু পুলিশে অভিযোগ জানাননি। পরে তাঁর পরিবার বিশ্রামবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
সেখানেই প্রশ্ন উঠেছে, কাদের উপর নির্ভর করে গণধর্ষণের (gang rape) পরেও হুমকি দেওয়ার সাহস দেখিয়েছিল ওই তিন তরুণ। রবিবার রাতে ঘটনা ঘটলেও মঙ্গলবার পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের করার সাহস করতে পারেননি নির্যাতিতা। মঙ্গলবার অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ তরুণীর শারীরিক পরীক্ষা করায়। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় তিন অভিযুক্তকে।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–