সেসময় সিবিআই-কে সাহায্য করেছিলেন অপরাধী ধরে দিতে। তাঁর জন্য রেলের দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হয়েছিল, দাবি রেলের প্রাক্তন গ্যাংম্যানের (gangman)। তাও তাঁকে চাকরি হারাতে হয়েছিল। হন্যে হয়ে এই ৩২ বছর ধরে খুঁজছিলেন সেই ‘অপরাধী’ সিবিআই (CBI) আধিকারিককে। শেষ পর্যন্ত লক্ষ্ণৌতে তাঁকে খুঁজে পেতেই তির (arrow) মারলেন দীনেশ মুর্মু। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। কিন্তু এই কাণ্ড বাঁধিয়ে অপরাধবোধে আদৌ ভুগছেন না প্রাক্তন রেল কর্মচারি। তাঁর তির মারার সেই রোমহর্ষক ঘটনা গোটাটাই ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে (CCTV footage)। ঘটনায় গুরুতর আহত সিবিআই-এর এএসআই-কে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।
১৯৯৩ সালে রেলের একটি দুর্নীতির (railway corruption) তদন্ত করছিল সিবিআই। সেই সময় বিহারের মুঙ্গেরে রেলের গ্যাংম্যান (gangman) ছিলেন দীনেশ মুর্মু। দুর্নীতি ফাঁস করতে সাহায্য করেছিলেন বলে দাবি দীনেশের। কিন্তু তদন্তের শেষে অপরাধীরা শাস্তি পাওয়ার পাশাপাশি চাকরি হারান দীনেশ। সেই সঙ্গে ধ্বংস হয় তাঁর পরিবার ও সম্মান। তখন থেকেই প্রতিশোধের অপেক্ষা করছিলেন তিনি।
এর আগে ২০০৫ সালে দিল্লিতে সিবিআই (CBI) দফতরে আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান তিনি। তবু থেমে থাকেননি। ২০১৫ সালে ফের জৌনপুরে সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে জৌনপুর রেলস্টেশনে আরপিএফ কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান। শেষ পর্যন্ত খোঁজ পান লক্ষ্ণৌতে হজরতগঞ্জ সিবিআই দফতরে রয়েছেন তাঁর চোখে ‘অপরাধী’ আধিকারিক এএসআই বীরেন্দ্র সিং।
যেমন ভাবা তেমন কাজ। হজরতগঞ্জের দফতরের বাইরে লোহার তির-ধনুক (bow and arrow) নিয়ে বীরেন্দ্র সিংকে আক্রমণ করে দীনেশ। একটি লোহার তির (arrow) সিবিআই আধিকারিকের বুকে গেঁথে যায়। তাঁকে লক্ষ্ণৌ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। দফতরের বাইরে পুলিশ ও সিবিআই কর্মীরা ধরে ফেলেন দীনেশকে। ধরা পড়ে দীনেশের দাবি, তিনি প্রতিশোধ নিয়েছেন। পুরাণ মেনে তাই তির মেরেই অপরাধীকে শাস্তি দিয়েছেন।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–