Thursday, August 21, 2025

এএফসি এশিয়ান কাপের(AFC Asian Cup) যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে হংকংয়ের বিরুদ্ধে নামবে ভারতীয় ফুটবল দল। কিন্তু সেই ম্যাচে নামার আগে সুনীল ছেত্রী(Sunil Chetri), শুভাশিস বোসরা(Shubhasish Bose) কতটা তৈরি। বাংলা দলের কোচ সঞ্জয় সেন(Sanjay sen) সরাসরি না বললেও, ভারতীয় দলে(Indian Football Team) যে বৈচিত্রে যথেষ্ট অভাব রয়েছে তা বলতে দ্বিধা করছেন না। অন্তত বাংলার বিরুদ্ধে জেতার জন্য ভারতীয় দলকে যে ভাবে খেলতে হয়েছে, তা কিন্তু চিন্তা বাড়ানোর জন্য যথেষ্টই। ভারতের বৈচিত্রের অভাবটা তাদের সমস্যা বাড়াতে পারে বলেই মনে করছেন সঞ্জয় সেন(Sanjay Sen)।

সেইসঙ্গে ফুটবলারদের ক্লান্তিও একটা অন্যতম বড় চিন্তার কারণ বলে মনে করছেন তিনি। গত সোমবার কলকাতায় প্রস্তুতি ম্যাচে সন্তোষ ট্রফি জয়ী বাংলা দলের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল ভারতীয় ফুটবল দল(Indian Football Team)। সেখানেই নিজেদের শক্তি ও দুর্বলতা দেখে নিতে চেয়েছিল। ভারতের আক্রমণভাগ যে বেশ চিন্তায় রাখছে ভারতীয় কোচকে তা সঞ্জয় সেনের(Sanjay Sen) কথা থেকেই স্পষ্ট। হংকং ম্যাচ যে ভারতের সামনে বড়সড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে তাও বলতে দ্বিধা করেননি তিনি।

সুনীল ছেত্রীদের সঙ্গে সমানে সমানে লড়াই করেছিল এদিন সন্তোষ ট্রফি জয়ী বাংলা দল। ম্যাচ এক সময় ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। যদিও শেষ মুহূর্তে ভারতীয় দল কোনওরকমে একটি গোল করে ম্যাচ জেতে। তবে সেখানে ভারতীয় ফুটবলারদের কৃতিত্ব নেই বলেই মনে করছেন সঞ্জয় সেন। বরং বহু জায়গায় ভারতীয় ফুটবল টিমে বৈচিত্রের অভাবের পাশাপাশি, ট্যাকটিক্স নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন সঞ্জয় সেন।

সন্তোষ জয়ী কোচ সঞ্জয় সেন জানিয়েছেন, “আমার তাদেরকে খুব ক্লান্ত লেগেছে। সেইসঙ্গে এই দলে বৈচিত্রের অভাবটা বারবার চোখে পড়েছে। অর্থাৎ যখন খেলা বার করা যাচ্ছে না সেই সময় যে নানান ট্যাকটিক্স কাজে লাগানো। সেটা এদিনের ম্যাচের ৯০ মিনিটে একবারও চোখে পড়েনি। ভারতীয় দলের ফুটবলাররা তো সেভাবে ওপেনিংই করতে পারছিলেন না। আমাদের ছেলেদের ভুলেই তো দুটো গোল করেছে”।

এদিন বাংলার সন্তোষ জয়ী ফুটবলাররা যেভাবে খেলেছেন সুনীল ছেত্রী, মনবীর সিং, শুভাশিস বোসদের বিরুদ্ধে, তাতে আপ্লুত সঞ্জয় সেন। তাঁর দলের থেলেদের এমনই একটা ম্যাচের প্রয়োজন ছিল বলে মনে করছেন তিনি। ফুটবলাররা এখানে নিজেদের প্রমাণ করেছে বলেই মনে করছেন তিনি। সেইসঙ্গে বাংলাতেই যে ফুটবলটা বেঁচে আছে সেই বার্তাও যে এদিন তাঁর দল দিয়েছে, তা বলতে দ্বিধা নেই সঞ্জয় সেনের।

Related articles

নিরপেক্ষতা, মর্যাদা, আলোচনা: উপরাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নে সুদর্শন রেড্ডির শপথ

আমার জীবন জনগণের সেবায় নিয়োজিত। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি থেকে শুরু করে একজন আইনের ছাত্র হিসেবে ভারতের গণতান্ত্রিক প্রথা,...

“ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ম্যাচটা নিজেকে প্রমাণ করার ছিল”: জবি জাস্টিন

ইস্টবেঙ্গল (Eastbengal) তাঁকে ছেড়ে দিয়েছিল। একটা সুযোগ খুঁজছিলেন নিজেকে প্রমাণ করার। ডুরান্ডের (Durand Cup) সেমিফাইনালেই প্রাক্তন দল ইস্টবেঙ্গলের...

অভিষেকের পেপটকেই ইস্টবেঙ্গল বধ DHFC-র: ফাঁস করলেন মানস ভট্টাচার্য

প্রথমবার ডুরান্ড খেলতে নেমেই বাজিমাতের পথে ডায়মন্ড হারবার এফসি। আর দলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) পেপটকেই (pep...

আমন্ত্রণ আসেনি: শুক্রবার কী করবেন দিলীপ ঘোষ, অকপট, অভিমানী

কাজের সময় কাজি, কাজ ফুরোলেই পাজি। যে দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বঙ্গে বিজেপির উত্থান, শুভেন্দু-সুকান্ত জমানায় সেই দিলীপকেই...
Exit mobile version