পাওনাদারের ঋণ শোধ করতে না পারায় এবার জীবন শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল হুগলির চন্দননগরের (Chandannagar, Hooghly)এক পরিবার। মানসিক অবসাদ থেকে প্রথমে স্ত্রী এবং কন্যাকে শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন, তারপর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন প্রৌঢ়। কলুপুকুর গরেরধার এলাকার এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য এলাকায়। ট্যাংরা এবং হরিয়ানার পঞ্চকুলার ঘটনার ছায়া যেন বুধবার গভীর রাতে স্পষ্ট দেখতে পেলেন চন্দননগরের মানুষ। মৃতদের নাম বাবলু ঘোষ (৬২), প্রতিমা ঘোষ (৪৬)ও নাবালিকা পৌষালি ঘোষ (১৩)। ঘটনার প্রসঙ্গে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের (Chandannagar Police Commissionerate) এসিপি সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মা ও মেয়ের দেহ পাওয়া গিয়েছে খাট থেকে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে তাঁদের রড দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। চিলেকোঠাতে বাবলু ঘোষের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঋণের কারণে এই ঘটনা নাকি অন্যকিছু তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

স্থানীয়রা বলছেন, বাবলু আগে একটি টিনের বাক্স তৈরির কারখানায় কাজ করতেন। এরপর টোটো চালক হিসেবেও কাজ করেছেন। পরের দিকে সাট্টার প্যাড লিখতেন। বাজারে প্রায় লক্ষাধিক টাকার দেনা ছিল তাঁর। নিত্যদিন পাওনাদাররা এসে তাগাদা দিতেন। ধীরে ধীরে মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন বাবলু। পুলিশ সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে চন্দননগর থানায় খবর আসে কলুপুকুর গরেরধার এলাকার একটি বাড়িতে একই পরিবারের তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবেশীদের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। রাত দুটোর পর মৃতদেহ উদ্ধার করে চন্দননগর হাসপাতালে পাঠানো হয়। ধারদেনার কারণেই চরম সিদ্ধান্ত কী না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

–

–


–

–
–

–
–

–

–

–

–

–

–
