স্বাস্থ্য ভবনের (Swasthya Bhawan) নির্দেশ না মেনে, নিজেদের বদলি আটকাতে এবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন WBJDF এর দুই সদস্য দেবাশিস হালদার এবং আসফাকুল্লা নাইয়া (Debashis Halder and Asfaqulla Naiya)। নিয়ম বহির্ভূতভাবে অনেক দূরের এলাকাতে পোস্টিং করা হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে তাঁরা মামলা করতে চাইলে শুক্রবার সেই অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী ৫ জুন (বৃহস্পতিবার) মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।

একদিকে আরজি কর আন্দোলনের নামে দীর্ঘদিন কর্মবিরতি করে ডিউটি থেকে দূরে সরে থেকেছেন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। এখন আবার পোস্টিংকে নয়া ইস্যু তৈরি করে গত কয়েকদিন ধরে কাজের ফাঁকি দিয়ে চলেছেন তাঁরা। গত মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতরের নয়া নোটিসে সিনিয়র রেসিডেন্টদের ‘নিয়মমাফিক’ বন্ড পোস্টিংয়ের ঘোষণা হয়েছে। সেইমতো সব ডাক্তাররা নিজেদের কাজে লেগে পড়েছেন কিন্তু ব্যতিক্রমী দেবাশিস হালদার, আসফাকুল্লা নাইয়া, অনিকেত মাহাতো। বুধবার প্রথমেই এনারা বসে পড়লেন স্বাস্থ্য ভবনের সামনে। তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলা হলে জুনিয়ার ডাক্তার দেবাশিস অদ্ভুত যুক্তি দিয়ে বলেন, “আমাদের লোকেরা রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব।” এরপর শুক্রবার তাঁদের আইনজীবী আদালতে মামলা দায়েরের অনুমতি চাইলে বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় সেই অনুমতি দিয়েছেন। আদালতের গ্রীষ্মকালীন ছুটির মাঝে আগামী সপ্তাহের বিশেষ অধিবেশনে এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, মানুষের সেবা করার শপথ নিয়েছেন যে ডাক্তাররা, শহর ছেড়ে অন্যত্র পরিষেবা দিতে তাঁদের অসুবিধা কোথায়? তিন অতিবাম চিকিৎসকের মানসিকতায় ধিক্কার সমাজের নানা স্তরে।

–

–


–

–
–

–
–

–

–

–

–

–

–

–

–