Saturday, November 15, 2025

প্রধানমন্ত্রীর সফরে ব্রাত্য, শাহ-সাক্ষাতেও ডাক নেই: না ডাকলে যাই না, ব্যাখ্য়া দিলীপের

Date:

Share post:

যখন রাজ্য সভাপতি ছিলেন তখন তিনিই সামনে থেকে স্বাগত জানাতেন। পদও নেই, দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) সম্মানও নেই – কার্যত বঙ্গ বিজেপি সেই ছবিই তুলে ধরতে চেয়েছেন মোদি-শাহ সফরে। যেখানে বঙ্গ বিজেপি প্রধানমন্ত্রীর সফর দিয়ে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার শুরুর পরিকল্পনা নিচ্ছে, সেখানে বাদ থাকছেন এই রাজ্যে বিজেপির সবথেকে সফল নেতাই। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঢাকতে যদিও অভিমানী দিলীপের দাবি, প্রয়োজন হয় না তাই বড় নেতাদের কাছে যান না, সংগঠনের কাজ করেন।

গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বঙ্গ বিজেপিতে সাজো সাজো রব নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও অমিত শাহর (Amit Shah) সফর ঘিরে। আর এসব থেকে শত যোজন দূরে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব তাঁকে রাজ্যের সবথেকে সফল রাজ্য সভাপতি মানলেও তাঁর নামে কুৎসা বা অপপ্রচারের জন্যই হোক, বা অন্য কোনও কারণে, দিলীপকে আর গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তা প্রমাণিত হল মোদি ও শাহর সফরে দিলীপকে আমন্ত্রণ না জানানোয়। তাতে অভিমান হলেও প্রকাশ করতে নারাজ দিলীপের (Dilip Ghosh) বক্তব্য, বড় নেতারা না ডাকলে আমি যাই না, তাঁদের মান সম্মানের ব্যাপার থাকে। তাঁরা যাদের ডাকেন তাঁরা যান। আমার প্রয়োজন হয় না। আমি সংগঠনের কাজ করি নিজে। যখন প্রয়োজন হয় তাঁরাই ডাকেন। কী করতে হবে তাঁরা বলেন। সেটা আমরা পালন করি মাত্র।

এই সব সফরে যে পুরোনো দিনের কথাও মনে পড়ে দিলীপ ঘোষের, তাও তাঁর বার্তায় স্পষ্ট। তিনি বলেন, যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন যেতাম, স্বাগত করতাম ওনার সঙ্গে থাকতাম। এখন অন্যরা সেই দায়িত্বটা সামলাচ্ছেন। আমরা কার্যকর্তাদের বৈঠকে থাকব।

তবে বিজেপির যে অংশ দিলীপ ঘোষের ব্রাত্য হয়ে থাকা নিয়ে গোপণে মজা লুটছেন, তাঁদের জন্যও বার্তা দেন দিলীপ। তিনি বলেন, রাজনীতিতে একটা লোকেদের মধ্যে ট্রেন্ড আছে নেতার পিছনে পিছনে ঘোরা। কারণে অকারণে ১০০ ২০০ লোক দাঁড়িয়ে থাকে সারাদিন, দেখাও করে না কিছু না। এটা একটা কালচার হয়ে গিয়েছে। যে বৈঠকে, যে অনুষ্ঠানে যেতে বলা হয়, কর্মীরা সেখানেই যায়। কোন নেতারা কোথায় থাকবে সেটা পার্টিই ঠিক করে। এটাকে আমরা শৃঙ্খলা বলি।

শনিবার রাতে কলকাতা পৌঁছাবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শনিবার রাত ৯.২৫-এ কলকাতা বিমান বন্দরে তাঁর বিমান অবতরণ করবে। রবিবার কলকাতার বিলাসবহুল হোটেল থেকেই দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ও নেতাজী ইন্ডোরে কর্মী সম্মেলনে যোগ দেবেন। রবিবার রাতেই তিনি ফিরে যাবেন দিল্লি। তাঁর এবারের সফর মূলত কলকাতা নির্ভর হলেও তা নিয়ে ব্যস্ত গোটা রাজ্যের নেতারা। ব্যস্ততা থেকে অনেক দূরেই রয়ে গেলেন এবার দিলীপ ঘোষ।

spot_img

Related articles

রবীন্দ্র সরোবরের ছয় ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি: সম্পূর্ণ আইনি পথে কর্পোরেশন

প্রায় পাঁচ দশক পর রাবীন্দ্র সরোবর চত্বরে অবস্থিত ছ’টি ক্লাবের সঙ্গে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক ভাড়ার চুক্তি করল কলকাতা...

বিহারে কমিশনের কারচুপি, তোপ অখিলেশের: ঘুরিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ ওমরের

বিহারে এসআইআর প্রয়োগ করে ভোটারদের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেস-আরজেডির (RJD) মহাজোটের এটাই ছিল বিহার নির্বাচনের মূল...

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কে: ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট JD(U)-এর!

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ২৪৩ টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৮৯ আসনে জয়ী। নীতীশ কুমারের জেডিইউ জিতেছে ৮৫ টি আসন।...

জাদুসম্রাটের বাড়িতে বিয়ের আসর! বিজ্ঞাপন দেখে পাত্র পছন্দ মৌবনীর

জিনা বন্দ্যোপাধ্যায় জনে জনে বার্তা রুটি গেল ক্রমে, বিয়ে করছেন মৌবনী শীতের মরশুমে! মেয়ের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন পিসি সরকার, সেখান থেকেই পাত্র...