পাকিস্তানের (Pakistan) জনপ্রিয় টিকটক স্টার এক তরুণীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠল তাঁর এক আত্মীয়ের বিরুদ্ধেই। ঘটনাটি ঘটেছে ইসলামাবাদের আপার চিত্তালে তরুণীর বাড়িতেই। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, নারীদের শিক্ষা ও অগ্রাধিকার নিয়ে প্রচার করার জেরেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। আবার, কারও মতে, এটি সম্মান রক্ষার্থে খুন। সানার (Sana) মৃত্যুর বিচারের দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন উঠেছে। #JusticeForSanaYousuf লিখে শুরু হয়েছে নেট আন্দোলনও।

সানা ইউসাফ পাকিস্তানের অত্যন্ত জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটার। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ফলোয়ার ৫ লক্ষের কাছাকাছি। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, সানাকে খুন করতেই তাঁর বাড়িতে যান এক আত্মীয়। সেক্টর-১৩ এলাকায় সানা ও ওই আত্মীয়কে কথা বলতে দেখেন স্থানীয়রা। তারপর সানাই তাঁকে বাড়ির ভিতর ডেকে নিয়ে যান। ঘরে ঢুকেই বেশ কয়েকটা গুলি চালিয়ে পালিয়ে যান অভিযুক্ত। সানার শরীরে দুটি গুলি লাগে, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পরিবারের সম্মান রক্ষার্থেই সানাকে হত্যা করা হয়েছে। চিত্রালের এক সমাজকর্মীর মেয়ে সানা। বিশেষত টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে তিনি ভিডিও পোস্ট করতেন। প্রধানত সাংস্কৃতিক গৌরব, নারী অধিকার, নারীদের শিক্ষা চেতনা, চিত্রালি ঐতিহ্য-পরম্পরা নিয়ে ভিডিও বানাতেন সানা। যার ফলে মৌলবাদীদের এক অংশ সানার বিরুদ্ধে চলে যায়। তবে এখনও খুনের স্পষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আরও খবর: বাকস্বাধীনতায় ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা যায় না: শর্মিষ্ঠার জামিনের আর্জি খারিজ করে জানাল হাই কোর্ট

সানার মৃত্যুর বিচারের দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন উঠেছে। #JusticeForSanaYousuf লিখে শুরু হয়েছে নেট আন্দোলনও। ২০১২ সালে মালালা ইউসুফজাই নারী অধিকার দাবি করায় পাকিস্তানেই তালিবানের হাতে আক্রান্ত হন। চলতি বছরের শুরুতে কোয়েট্টায় হিরা নামে ১৫ বছরের এক কিশোরী টিকটকে ভিডিও পোস্ট করায় তাঁর বাবা ও মামা মিলে খুন করে বলে অভিযোগ।

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–