রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা না রেখে আদালতে গিয়ে CBI তদন্তের দাবি করেছিলেন অভয়ার মা-বাবা। সেই মতো দোষী সাব্যস্ত হওয়া সঞ্জয় রায়ের যাবজ্জীবন সাজা হওয়ার পরে সিবিআই-এর বিরুদ্ধেই টাকা নিয়ে তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুলছেন মৃতার মা-বাবা। রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ তাঁদের। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, অভয়ার মা-বাবার অশ্রুকে ব্যবহার করে অনেকেই ফ্যায়দা তুলছেন আর তাঁরা সেই ফাঁদে পড়েছেন। তাঁরাই তো সিবিআই-কে ডেকেছিলেন।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (R G Kar Medical College And Hospital) তরুণী চিকিৎসক-পড়ুয়ার নির্মম ধর্ষণ-খুনের তদন্ত প্রথমে শুরু করে কলকাতা পুলিশ। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ধরা পড়ে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। কিন্তু রাজ্য পুলিশে আস্থা না রেখে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) CBI তদন্তের আর্জি জানান অভয়ার মা-বাবা। সম্মতি দেয় আদালত। কিন্তু চার্জশিট দিয়ে সিবিআই সেই সঞ্জয়কেই মূল অভিযুক্ত সাব্যস্ত করে। শিয়ালদহ আদালত সঞ্জয়কে দোষী ঘোষণা করে আমৃত্য়ু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। কিন্তু সেই রায় মনপুতঃ হয়নি মৃতার পরিবারের। তারা তার বিরোধিত করে। CBI-এর বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতিরও অভিযোগ তোলে।
অভয়ার পরিবারের মতে, প্রকৃত বিচার মেলেনি। নিহত তরুণীর বাবার বিস্ফোরক অভিযোগ, “সিবিআই কোনও কাজ করছে না। আমাদের আশঙ্কা টাকা খেয়ে সিবিআই তদন্ত ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করছে।“ অভয়ার মা বলছেন, “সিবিআই এমনভাবে প্রেসার তৈরি করছে যাতে কেউ মুখ না খোলে। আদালতে যে রিপোর্ট সিবিআই জমা দিচ্ছে তাতেও প্রচুর গরমিল থাকছে। সঠিক রিপোর্ট দিচ্ছে না।“
সাহায্যের জন্যে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন নিহত তরুণী চিকিৎসকের মা-বাবা। নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবার অভিযোগ, “সাহায্যের অনুরোধ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে স্বরাষ্ট্র দফতরের সঙ্গে কথা বলতে বলা হয়। একটি ফোন নম্বরও দেন। যোগ বারবার ফোন করলেও কেউ ফোন ধরেননি।“ রাষ্ট্রপতিকেও চিঠি দিয়েছেন তাঁরা। সেখান থেকেও তাঁরা নিরাশ।
আরও খবর: কাজের টোপ দিয়ে সোদপুরের তরুণীর উপর পাশবিক অত্যাচার! পলাতক অভিযুক্ত
এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে কুণাল ঘোষ বলেন, “আজ ওনারা যেটা আফসোস করছেন, সেটার জন্য ওনারাই দায়ী৷“ কুণালের কথায়, “আপনারা সিবিআই ডেকে এনেছেন। অথচ অভয়ার ঘটনার পরে রাজ্যে ঘটা এই ধরনের ঘটনায় পুলিশ একের পর এক তদন্ত করে অপরাধীকে ফাঁসি সাজা পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছে। আর আপনাদের মেয়েকে ভাঙিয়ে কেই কিউআর কোডে টাকা তুলেছে, আপনাদের মেয়েকে ভাঙিয়ে কেউ নির্ধারিত বদলি আটকাতে চাইছে, আপনাদের অশ্রুকে ব্যবহার করে কেউ ফ্যায়দা তুলছে। আর তার জন্য আপনারাই দায়ী।“
–
–
–
–
–
–
–
–
–
