তবে কী ভারত ও আমেরিকার মধ্যে এবার সত্যিই দূরত্ব তৈরির শুরু? ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির পরে সহজ সমাধান হিসাবে এখনও মাথা নত করেনি কেন্দ্রের সরকার। পহেলগাম হামলা পরবর্তীতে ১১ বার ট্রাম্প দাবি করেছেন ‘যুদ্ধ’ থামিয়েছেন ট্রাম্পই। তার সরাসরি প্রতিবাদ করা না হলেও ভারতের বিদেশমন্ত্রক বারবার দাবি করেছে কারো মধ্যস্থতায় ভারত পাক দ্বন্দ্ব থামেনি। সাম্প্রতিক সময়ে সরাসরি মার্কিন তোষামোদিতে কিছুটা ছেদ ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে বিরল খনিজ (rare earth minerals) নীতি নিয়ে সরাসরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) উল্টো পথে হাঁটা শুরু করলেন নরেন্দ্র মোদি।
গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দুই অর্থনীতির শক্তিধর দেশে চিন ও আমেরিকা শুক্রবার অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। বাণিজ্য নিয়ে চিনা রাষ্ট্রপতি সি জিনপিংয়ের (Xi Jinping) সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) ফোনালাপের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয় বিরল খনিজ নিয়ে। পাশাপাশি চুম্বক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ নিয়েও চুক্তির পথে দুই শক্তিধর দেশ। ইতিমধ্যেই তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে মার্কিন বেসরকারি সংস্থাকে বিরল খনিজ রফতানির সাময়িক লাইসেন্স দিয়েছে। সোমবার দুই দেশের প্রতিনিধিদের ইংল্য়ান্ডে আলোচনায় বসারও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যেখানে এই বিরল খনিজ নিয়ে চুক্তি একটি বড় ভূমিকা নিতে পারে বলে ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।
চিন ও আমেরিকার এই জোট প্রকাশ্যে আসতেই সক্রিয় মধ্য এশিয়ার দেশগুলি। ইতিমধ্যেই ভারতের সঙ্গে কাজাখিস্তান, কিরঘিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তানের মতো দেশগুলি বাণিজ্যের মাধ্যমে জুড়তে প্রবল আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এবার মধ্য এশিয়ার (central Asia) এই দেশ গুলির সঙ্গে বিরল খনিজ (rare earth minerals) নিয়ে চুক্তিতে আরও একধাপ এগোলো ভারত। বাণিজ্যকে আরও সহজ করতে তৎপর মধ্য এশিয়ার দেশগুলি। যে কারণে ভারতের সঙ্গে এই দেশগুলির ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাও সহজ করার পথে এগোনোর কথা জানানো হল বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। শুক্রবারের বৈঠকের পরে ভারতের ঝিমিয়ে পড়ে অর্থনীতিকে মধ্য এশিয়ার দেশগুলি কতটা চাঙ্গা করতে পারবে, তা নিয়ে যদিও প্রশ্ন রয়েছে।
তার পিছনে অন্যতম কারণ হতে পারে আমেরিকা। সম্প্রতি অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতে মধ্য এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক খারাপের দিকে। অন্যদিকে বিশ্ব অর্থনীতির নিয়ামক হিসাবে মার্কিন ডলারকে সরিয়ে ফেলার দাবির সময় থেকেই মধ্য এশিয়ার (central Asia) দেশগুলির সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছিল ট্রাম্পের। এবার সেই সব দেশের সঙ্গে নৈকট্য বাড়িয়ে মার্কিন রোশে ভারত পড়তে পারে কি না, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে জল্পনা।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
