প্রচণ্ড গরম থেকে রেহাই পেতে দার্জিলিং, কালিম্পং কিংবা সিকিমের গ্যাংটক—এই সব ঠান্ডার শহরগুলিই বাংলার পর্যটকদের প্রথম পছন্দ। কিন্তু এবছর সেই স্বস্তির পাহাড়ও যেন গরমের দাপটে জেরবার! একটানা তাপপ্রবাহে শৈলশহরগুলিতেও নেমে এসেছে গ্রীষ্মের কামড়। দার্জিলিংয়ে তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, কোথাও কোথাও আরও বেশি। এমনকি ঠান্ডার শহরে এখন ফ্যান চালাতে হচ্ছে, চলছে এসি, দেদার বিক্রি হচ্ছে আইসক্রিম।

পাহাড়ের এই অস্বাভাবিক আবহাওয়ার পিছনে রয়েছে দুর্বল মৌসুমি বায়ু। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে উত্তরবঙ্গের পাহাড়-সমতল এলাকায় মৌসুমি বায়ু ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ায় গরমের তীব্রতা বেড়েছে। ফলে পাহাড়েও আর নেই ঠান্ডার ছোঁয়া, বরং রীতিমতো হাঁসফাঁস অবস্থা।

দার্জিলিংয়ের পাশের এলাকা কার্শিয়াং কিংবা বিজনবাড়িতেও তাপমাত্রা আরও কিছুটা বেশি। অন্যদিকে, সিকিমের গ্যাংটকে তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি! যা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি।

এই পরিস্থিতিতে হাওয়া অফিস সতর্ক করেছে, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের দুপুরবেলা ৩০ মিনিটের বেশি রোদের মধ্যে বাইরে না থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের উদ্দেশে সতর্কবার্তাও জারি হয়েছে, যেন যথেষ্ট জল পান করা হয় এবং প্রয়োজন হলে ছাতা বা টুপি ব্যবহার করা হয়।


এই অস্বাভাবিক গরমে স্থানীয় মানুষ থেকে পর্যটক—সবাই কার্যত চমকে গিয়েছেন। কেউই ভাবেননি দার্জিলিং বা সিকিমে গিয়ে এসির প্রয়োজন পড়বে!


আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের তাপপ্রবাহ জুন মাসে পাহাড়ি অঞ্চলে অত্যন্ত বিরল ঘটনা। পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সকলে এখন চোখ রাখছেন মৌসুমি বৃষ্টির দিকে।
আরও পড়ুন – মুখ্যমন্ত্রীকে কুকথা! শুভেন্দুর বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের প্রস্তাব বিধানসভায়

_
_
_

_

_

_

_

_