ইন্দোরের রাজা রঘুবংশী খুনের ঘটনায় ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে স্ত্রী সোনমের অন্য সম্পর্কের সত্যি। সহকর্মী রাজ কুশওয়ার সঙ্গে কী শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সোনম, সেই থেকেই স্বামী রাজাকে খুনের সিদ্ধান্ত। কিন্তু পরকীয়া সম্পর্কের জন্য খুন পর্যন্ত কেন যেতে হল সোনমকে (Sonam Raghuvanshi), সেই প্রশ্ন উঠতেই সামনে এসেছে আরও এক তত্ত্ব। যেখানে রাজার পরিবার দাবি করছে, মাঙ্গলিক দোষ কাটাতে স্বামীকে খুন করে প্রেমিকের সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করতে চেয়েছিল সোনম, এমন অভিযোগও উঠছে।
মেঘালয় পুলিশ (Meghalaya police) যেভাবে দম্পতির অন্তর্ধান রহস্যের তদন্তে শুরু করেছিল সেই পথ যে সঠিক ছিল, তা ক্রমশ প্রকাশিত হচ্ছে। প্রেমিক রাজ কুশওয়ার সঙ্গে পরিকল্পনা করে রাজা রঘুবংশীকে খুনের পরিকল্পনা করেই মেঘালয়ে গিয়েছিল সোনম। রাজার বাবা দাবি করেন, বিয়ের পরে চারদিন শ্বশুরবাড়িতে ছিল সোনম। তারপর নিজের বাড়ি চলে যায়। সেখান থেকে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। বিমান বন্দরে পৌঁছে রাজাকে ডেকে নেয়। জানায় ওরা অসমে যাচ্ছে।
এরপর সেই ১২ দিনের অপেক্ষার পরে দেহ উদ্ধার হয় রাজার। প্রাথমিকভাবে রাজার পরিবার মেঘালয় পুলিশের দাবি মতো সোনমকে অপরাধী ভাবতেই পারেনি। সেখান থেকেই রহস্য মোড় নেয় অন্যদিকে। সোনমের আত্মসমর্পণের পরে তার যখন মেডিক্যাল পরীক্ষা হয় তখন তার মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও নজর রাখেন তদন্তকারীরা। সেই সঙ্গে বাধ্যতামূলক একটি প্রেগন্যান্সি টেস্টও (pregnancy test) হয়। আর সেখানেই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট আসে। রিপোর্ট অস্বচ্ছ (unclear) বলে জানা যায়, যা গর্ভবতী হওয়ার কিছুদিনের মধ্যে হওয়া সম্ভব। যে সময়ে অনেক ক্ষেত্রেই অস্পষ্ট রিপোর্ট আসে। আপাতত এক সপ্তাহ পরে আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষার (ultrasound test) অপেক্ষা করছেন তদন্তকারীরা।
বিয়ের আগেই প্রেমিক রাজের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের জন্যই কী শুধুমাত্র নতুন বিয়ে করা স্বামীকে খুনের পথে গিয়েছিল সোনম, প্রশ্ন উঠেছে সেখানে। যেভাবে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়ে খুনের ছক কষা হয়েছিল, তা অনেক দিনের পরিকল্পনা ছাড়া সম্ভব ছিল না বলেই তদন্তকারীদের অনুমান। তিন সুপারি কিলারকে ভাড়া করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। সোনম নিজের লাইভ লোকেশন রাজকে শেয়ার করে খুনের পথ প্রশস্ত করেছিল। এত পরিকল্পনা কতদিন ধরে হয়েছিল সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই সামনে এসেছে মাঙ্গলিক তত্ত্ব।
রাজার দাদা বিপুল রঘুবংশী দাবি করেন, সোনম আগেই তার মাকে জানিয়েছিল যদি রাজের সঙ্গে তার বিয়ে না হয় তাহলে পরিণতি আরও মারাত্মক হতে পারে। এই কথা সে তার বাবা ও দাদাকে জানায়নি। সোনমের (Sonam Raghuvanshi) প্রবল মাঙ্গলিক (Manglik) দোষ ছিল। রাজার সেটা প্রবল ছিল না। তাই হয়তো ওরা পরিকল্পনা করেছিল, যদি একবার রাজাকে মেরে ফেলে সোনম বিধবা হয়ে যায়, তবে প্রেমিকের সঙ্গে দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে কোনও অসুবিধা থাকবে না।
মঙ্গলবার সোনম ও গ্রেফতার চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর পাশাপাশি চার অভিযুক্তর বাড়িতে তল্লাশি চালায়। শারীরিক পরীক্ষার পরে সোনমকে নিয়ে যাওয়া হয় মেঘালয়ে।
–
–
–
–
–
–
–
–