আহমেদাবাদের (Ahmedabad) মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের (Hostel) সামনে সারাদিন কষ্ট করে ছোট্ট চায়ের দোকান চালান মা। তাই আকাশ (Akash) তাঁকে টিফিন পৌঁছতে যেত। বৃহস্পতিবারও ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু সেই সময় মা সীতা পাটানি (Sita Patani) দোকানে ছিলেন না। ফলে অপেক্ষা করছিল বছর ১৫-র আকাশ। আর সেখানেই ভেঙে পড়ে অভিশপ্ত বিমান। শব্দ পেয়ে ছুটে আসেন মা। আর্তনাদ করেন পুত্রের জন্য। ঝাঁপিয়ে পড়েন আগুনে। কিন্তু তাও শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্যু হয়েছে আকাশের। আর ৫০ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালের বেডে শুয়ে গীতা ভাবছেন এখনও আছে তাঁর আকাশ।

দেশের তথা বিশ্বের ইতিহাসে অন্য়তম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা আহমেদাবাদে (Ahmedabad)। কত প্রাণহানি হয়েছে তা এখনও সঠিক জানা যায়নি। ওই দুর্ঘটনাস্থলেই চায়ের দোকান চালাতেন সীতা। সেখানেই ভেঙে পড়ে বিমান। সেই দোকানে বসে মায়ের খাবার হাতে অপেক্ষা করছিল আকাশ। ছেলেকে বাঁচাতে আগুনে ঝাপিয়ে পড়েন মা। চিৎকার করে দৌঁড়তে থাকেন। সাহায্যর জন্যে হাত জোড় করেন সবার কাছে। ইতিমধ্যেই সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
আরও খবর: দুর্ঘটনার জের, জরুরি ভিত্তিতে ড্রিমলাইনারের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখবে DGCA

স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন সাহায্যে। নিজেও ঝাঁপিয়ে পড়েন সীতা। কিন্তু ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে আকাশের। আগুনের শরীরের ৫০ শতাংশ ঝলসে গিয়েছে সীতার। এই মুহূর্তে আহমেদাবাদের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। তবে, তাঁর আকাশ যে সম্পূর্ণ অন্ধকার হয়ে গিয়েছে, তা এখনও জানেন না সীতা।

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–