পতিত ও অনুর্বর জমিকে উর্বর করে বাংলাকে উত্তরণের দিশা দেখাচ্ছে ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্প(Matir Sristi Prakalpa)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) এই যুগান্তকারী পদক্ষেপে বাংলার ৪২,০০০ একর খরা কবলিত জমিকে উর্বর করে তোলা হয়েছে। কৃষক সমাজে নতুন বিপ্লব ঘটিয়েছে এই মাটির সৃষ্টি প্রকল্প।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) মস্তিষ্কপ্রসূত মাটির সৃষ্টি প্রকল্পটি অন্যান্য সরকারি কর্মসূচি থেকে একেবারেই আলাদা। এটি ঠিকাদারদের উপর নির্ভর না করে ৪২,০০০ একরেরও বেশি পতিত ও অনুর্বর কৃষিজমিকে উৎপাদনশীল জমিতে রূপান্তরিত করেছে। মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে প্রকল্পের আশাতীত ফল পেয়েছেন কৃষকরা। ২০২০ সালে প্রকল্পটি শুরু করে রাজ্য সরকার। তারপর সরকারি উদ্যোগে কৃষকদের সম্প্রদায়-ভিত্তিক সংগঠনগুলিকে সংগঠিত করে জমি পুনরুদ্ধার এবং জীবিকা নির্বাহের উপযোগী করে তোলা হয়।

মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের এই সাফল্যের কথা সমাজমাধ্যমে তুলে ধরেছে তৃণমূল(TMC)। গত বুধবার কলকাতার তাজ কুটিরে সেন্টার ফর রেসপন্সিবল বিজনেসের সহযোগিতায় নেচার এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ সোসাইটির আয়োজনে ‘প্রকৃতিতে বিনিয়োগ : অংশীদারিত্বের মাধ্যমে স্থায়িত্ব নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক কটি সম্মেলন হয়। সেখানে অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব প্রভাত মিশ্র তুলে ধরেন মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের সাফল্যের কথা। কৃষকদের জন্য মাটির সৃষ্টি কীভাবে আশার আলো হয়ে উঠেছে, তা বর্ণনা করেন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব।

তিনি বলেন, আমরা অবক্ষয়প্রাপ্ত জমিকে আবার চাষযোগ্য্য করে তুলেছি। ভূপৃষ্ঠের জলের প্রবাহে মাটির উপরের অংশকে ধুয়ে পতিত ও অনুর্বর হয়ে গিয়েছিল জমিগুলি। মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে সেই জমিকেই উর্বর করে ফসল ফলাচ্ছেন কৃষকরা। ঠিকাদার-ভিত্তিক মডেলে নয়, জমির মালিকদের সোসাইটি আইনের অধীনে নিবন্ধিত সম্প্রদায়-ভিত্তিক সংস্থায় বিভক্ত করে এই প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানানো হয়, মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে ৫,৪৫৫টি স্থানে ৪২,০০০ একরেরও বেশি ক্ষুদ্র-পরিকল্পনা সম্পন্ন হয়েছে। ১২,০০০ একরেরও বেশি জমিতে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে আম, কাজু, ড্রাগন ফলের মতো গাছের চাষ হচ্ছে। প্রাথমিক আয়ের জন্য আন্তঃফসল চাষের সুযোগও করে দেওয়া হয়েছে। ৪৯ হাজারেরও বেশি কৃষক এর সুফল পাচ্ছেন।

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–