ভরা দুপুরে কালীঘাটের জনবহুল বেণীনন্দন স্ট্রিট। দোকান থেকে মাল তোলা লরির ধাক্কায় সাইনবোর্ড ভেঙে যাওয়াকে কেন্দ্র করে রক্তারক্তি কাণ্ড। মৃত্যু হল এক দোকান কর্মীর। ঘটনার চার দিনের মাথায় খুনের কিনারা করে ফেলল কালীঘাট থানার পুলিশ। সোমবার সকালে এই ঘটনায় অশেষ সরকার ওরফে পিকলু নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ সূত্রের খবর, গত ১৩ জুন বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। কালীঘাটের ১৯, বেণীনন্দন স্ট্রিট এলাকার একটি দোকানে কাজ করতেন সৌমেন ঘরা। সেদিন দোকানের মালপত্র লরিতে তোলার সময় ধাক্কা লাগে পাশের দোকানের সাইনবোর্ডে। অভিযোগ, সেই ধাক্কায় সাইনবোর্ডটি ভেঙে পড়ে। এরপরই দুই দোকানের কর্মীদের মধ্যে বচসা শুরু হয়।

এই বচসার মাঝেই ঘটনাস্থলে ছুরি হাতে হাজির হয় অভিযুক্ত অশেষ সরকার ওরফে পিকলু। অভিযোগ, কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই সে সৌমেনের উপর ছুরি চালিয়ে দেয়। তাকে বাধা দিতে গিয়ে জখম হন আরও কয়েকজন। এরপরই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় পিকলু।

আহত অবস্থায় সৌমেনকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে তদন্তে নামে কালীঘাট থানার পুলিশ। জেরা করা হয় প্রত্যক্ষদর্শীদের, খতিয়ে দেখা হয় আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ। তার ভিত্তিতেই সোমবার সকালে ধৃতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পিকলু খুনের কথা স্বীকার করেছে। আজই তাকে আদালতে তোলা হবে এবং নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদে চাইবে পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় পিকলুর বিরুদ্ধে আগেও বচসা ও অশান্তিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ জানায়, সেই দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এলাকায় দিনদুপুরে এমন খুনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। স্থানীয়রা পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করলেও, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আটকাতে আরও কঠোর নজরদারির দাবি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন – জোর করে ভারতীয়দের বাংলাদেশে ‘পাচার’! বাংলার চাপে অবশেষে ফিরলেন চারজন

_

_

_
_

_

_
_
_
_
_