বারবার রাজ্য সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপে বিরোধীদের বাধা। আর সেই বাধায় নতুন রসদ জুগিয়ে এসেছে আদালতের রায় ও পর্যবেক্ষণ। এসএসসি মামলায় তা বারবার প্রমাণিত। যে চক্রান্তের জাল বিরোধীরা বিশেষত, বিজেপির নেতারা বুনে আসছেন বাংলার নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে, তাকে আটকে দিতে নতুনভাবে ইন্ধন দিয়ে আসছে বিভিন্ন আদালতের রায়। ওবিসি (OBC) মামলায় তা আরও একবার প্রমাণিত, দাবি বাংলার শাসকদল তৃণমূলের। অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের (interim stay order) পরিপ্রেক্ষিতে যা আইনি পদক্ষেপ রাজ্য সরকার খতিয়ে দেখছে, জানানো হয় শাসকদলের তরফে।
ওবিসি (OBC) তালিকা সংশোধন করে বাংলায় শিক্ষা থেকে পেশাগত ক্ষেত্রে নতুন পথ তৈরির চেষ্টা যখনই করেছে রাজ্য সরকার, তখনই রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিয়ে তাতে বাধ সেধেছে বিজেপির নেতারা, বিশেষত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ দাবি করেন, প্রথমদিন থেকে পরিষ্কার ওবিসিদের কল্যাণ, যারা আর্থ সামাজিক দিক থেকে পিছিয়ে আছে, তার বিরুদ্ধে বিরোধী দলনেতা। বিজেপি গোটা বিষয়টির সঙ্গে ধর্ম জড়িয়ে একটি বিকৃত প্রচার করে মূল সমস্যা থেকে মানুষের নজর ঘুরিয়ে দিয়ে চাইছে। বিজেপি মানুষের ক্ষতি চায়।
বিচার ব্যবস্থার উপর পূর্ণ আস্থা রেখেও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিজেপিকে রাজনীতির রসদ জুগিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ও বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চের অন্তর্বর্তী রায়। এই রায়ের পরই বিজেপির রাজনীতির খেলা শুরু। তা স্পষ্ট করে কুণাল বলেন, আজ শুভেন্দু নিজেই বলেছেন যে তিনি এই মামলায় পক্ষ হবেন। তিনি আরও বলেছেন এই স্থগিতাদেশ নিয়ে – আমরা কাল উদযাপন করব এবং বিধানসভায় লাড্ডু বিতরণ করব। দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি ঘুরে ফিরে যখন বিজেপি (BJP) রাজনীতি করার জন্য ওঁৎ পেতে বসে রয়েছে তখন দেখতে পাই এমন একজন বিচারপতির (Justice) নাম যিনি আজও এই মামলার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
এই প্রসঙ্গেই উঠে আসে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতিদের রায়ে বিজেপির (BJP) সুবিধা পেয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ। উদাহরণ তুলে ধরে কুণাল বলেন, আজকের রায়েও বিচারপতির মান্থার নাম যুক্ত। বিচারপতি মান্থা অতীতেও এমন কিছু রায় দিয়েছেন যেখানে ন্যায় বিচার সকলে একসঙ্গে দেখতে পাননি। বরং এমন কিছু উপাদান সেখানে ছিল যেখান থেকে শুভেন্দু অধিকারী রক্ষাকবচ, রসদ পেয়েছেন। বিরোধীরা রসদ পেয়েছে। দুঃখজনকভাবে আজকের রায়তেও বিচারপতি মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) নাম যুক্ত।
একদিকে ওবিসি তালিকার পূর্ণতা মাঝপথে স্থগিত। অন্যদিকে বিরোধীদের তা নিয়ে মাঠে নেমে রাজনীতির ঘুঁটি সাজানো। তাতে আখেরে বিশ বাঁও জলে রাজ্যের মানুষ। মাঝখানে সেই জটিলতায় রসদ জোগাচ্ছে আদালতের রায়। সেখান থেকেই রাজ্য সরকারের দৃঢ় মনোভাব তুলে ধরে কুণাল জানান, আমরা বিচার ব্যবস্থাকে সম্মান করতে চাই। কিন্তু কয়েকজন বিচারপতি (Justice) যাদের রায় ও পর্যবেক্ষণ বস্তুত বিজেপি (BJP) ও শুভেন্দু অধিকারীকে রাজনীতি করার রসদ জুগিয়ে দিচ্ছে। তাঁদের মনোভাবটা চাকরির জায়গায় আইনি জটিলতা তৈরি করে দেওয়ার। নেতিবাচক। ওবিসিদের (OBC) যাতে সুবিধা হয় সেটা করতে দিও না। অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে যা আইনি পদক্ষেপ রাজ্য সরকার খতিয়ে দেখছে।
–
–
–
–
–
–
–
–
–