খিদিরপুরের অর্ফানগঞ্জ মার্কেটের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৭০০ জন ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার, বিধানসভায় (Assembly) দমকল দফতরের ভূমিকা প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Basu) স্পষ্ট জানান, “জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন দমকল কর্মীরা, খাটো করবেন না“।
রবিবার মধ্য রাতে আগুন (Fire) লেগে ভস্মীভূত হয় খিদিরপুরের অর্ফানগঞ্জ মার্কেট। দমকলের বিরুদ্ধে দেরিতে পৌঁছনোর অভিযোগ ওঠে। এদিন সেই প্রসঙ্গে দমকলমন্ত্রী জানান, “২টা ৫ মিনিটে আমাদের দফতরে আগুন লাগার ফোন আসে। সঙ্গে সঙ্গে তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পরে আরও ইঞ্জিন পাঠানো হয়। ফিরহাদ হাকিম ঘটনাস্থলে যান। আমি নিজেও সকাল ৬টার আগেই পৌঁছে যাই। আধিকারিকরাও দ্রুত পৌঁছে যান। গতকাল দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।”
দমকলের ইঞ্জিনে জল ও তেল না থাকার অভিযোগ খারিজ করে মন্ত্রী (Sujit Basu) বলেন, “অনেকে বলছেন জল ছিল না, পাম্পে তেল ছিল না। আমি স্পষ্ট জানাচ্ছি, জল ছিল, তেলও ছিল। প্রাথমিকভাবে পাম্প চালু করার সময় পলি উঠে আসায় সাময়িক অসুবিধা হয়েছিল। কিন্তু জল বা তেলের অভাব ছিল না। কেন পাম্প ঠিকমতো কাজ করেনি, তা দেখা হবে।”
দমকল বাহিনীর দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার বিরোধিতা করে সুজিত বলেন, “অনেকে বিশেষজ্ঞ সেজে দমকলের সমালোচনা করছেন। আমি বলি, সেনাবাহিনী যেভাবে কাজ করে, দমকল কর্মীরাও তেমনভাবেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। তাঁদের খাটো করবেন না, তাঁদের সম্মান দিন।”
এদিকে, দমকল দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগুন লাগার কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রশাসনের তরফে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।
আরও খবর: সাইবার প্রতারণার তদন্তে সাতসকালে শিলিগুড়িতে ইডি হানা!
–
–
–
–
–
–
–
–
–