নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টির সঙ্গে ডিভিসি-র জলছাড়ায় দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা জলমগ্ন। বাঁকুড়া, হুগলি, হাওড়া, দুই মেদিনীপুরে তৈরি হয়েছে প্লাবনের পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি সরাসরি যোগাযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্ত জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে।
সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব জেলার আধিকারিকদের প্লাবিত অঞ্চলগুলিতে দ্রুত পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে চূড়ান্ত প্রস্তুতি রাখতে বলা হয়েছে, যাতে প্রয়োজনে ত্রাণ এবং ত্রিপল দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যায়।
নবান্ন সূত্রে খবর, প্লাবনের জেরে ঘরছাড়া মানুষদের জন্য অস্থায়ী শিবির তৈরির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী, শুকনো খাবার, ওষুধ ও ত্রিপল মজুত রাখতে বলা হয়েছে প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে। বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও হুগলিতে ক্ষয়ক্ষতির নিরূপণে বিশেষ রাজ্য সরকারি দল পাঠানো হবে, এমনটাই জানিয়েছে প্রশাসনিক মহল। দ্রুত রিপোর্টের ভিত্তিতে কেন্দ্রের কাছেও ক্ষতিপূরণের আবেদন করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত।
ডিভিসি ইতিমধ্যেই মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছেড়েছে, যার ফলে দামোদর অববাহিকার নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত হয়েছে। বিশেষত পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশ কিছু অঞ্চলে ধান, সব্জির খেত জলের তলায় চলে গেছে বলে খবর। হাওড়া ও হুগলি জেলার একাধিক পুরসভা ও গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঘরে জল ঢুকে পড়েছে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে রাজ্য প্রশাসন।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আরও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে রাজ্য প্রশাসন আগেভাগেই সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর, জানিয়েছেন এক প্রশাসনিক আধিকারিক। প্রশ্ন উঠছে, প্রতি বছর জলছাড়ার জেরে যেভাবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি প্লাবিত হচ্ছে, তার স্থায়ী সমাধান কবে? আপাতত নজর, ক্ষয়ক্ষতির নিরিখে দ্রুত ত্রাণ এবং পুনর্বাসনের দিকেই।
আরও পড়ুন – অক্সফোর্ডে মমতার সভায় গোলমাল পাকানো রজতশুভ্রই বেআইনি কাজে যুক্ত! জবাব তলব WBMC-র
_
_
_
_
_
_
_
_
_