রাজ্যের সেতু ও উড়ালপুলগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে। সুপ্রিম কোর্টের রোড সেফটি কমিটির চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ত দফতর এবং কেএমডিএ যৌথভাবে এই কাজ শুরু করেছে। লক্ষ্য একটাই—আসন্ন শারদোৎসবের আগেই, অর্থাৎ সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে অডিট কাজ সম্পূর্ণ করে জনসুরক্ষা নিশ্চিত করা।
পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে বর্তমানে প্রায় ২২০০টি সেতু ও কালভার্ট রয়েছে তাদের আওতায়। পাশাপাশি, কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় একাধিক উড়ালপুলের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে কেএমডিএ। দুটি দফতরই আলাদাভাবে এই সমস্ত স্থাপনার স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ করছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত রোড সেফটি কমিটি প্রতি তিন বছর অন্তর সমস্ত রাজ্য থেকে সেতু ও কালভার্ট সংক্রান্ত স্বাস্থ্যপরীক্ষার বিস্তারিত রিপোর্ট চায়। যদি কোনও স্থাপনায় গঠনগত দুর্বলতা ধরা পড়ে, তা হলে রাজ্য সরকারকে সতর্ক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশও করে কমিটি। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে পাঠানো এক চিঠিতে রোড সেফটি কমিটি জানায়, শুধু রিপোর্ট দিলেই চলবে না, বরং রক্ষণাবেক্ষণের বার্ষিক পরিকল্পনাও রাজ্য সরকারকে জমা দিতে হবে। একই সঙ্গে আইআরসি (IRC) স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী নিরাপত্তা পরীক্ষাও বাধ্যতামূলক। এই নির্দেশ মেনেই রাজ্য সরকার পূর্ত বিভাগ এবং কেএমডিএ-কে নির্দেশ দিয়েছে—প্রতিটি সেতুর প্রাথমিক অবস্থা নির্ধারণ, ঝুঁকির স্তর চিহ্নিতকরণ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সংস্কারের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। ইতিমধ্যে দ্রুত গতিতে শুরু হয়েছে ভিজ্যুয়াল ইন্সপেকশন, নন-ডেস্ট্রাক্টিভ টেস্টিং এবং অন্যান্য কারিগরি মূল্যায়ন।
সরকারি এক আধিকারিক জানান, “পুজোর ভিড় শুরুর আগেই সব সেতু ও উড়ালপুল নিরাপদ—তা নিশ্চিত করতে চাইছি। কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নই।”এই পদক্ষেপে যেমন বাড়বে সাধারণ মানুষের আস্থা, তেমনি প্রতিরোধ করা যাবে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও—এমনটাই মনে করছেন পরিকাঠামো বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন – প্রস্তুতির মাঝেই মর্নি মর্কেলের সঙ্গে কুস্তি দুই পেসারের!
_
_
_
_
_
_
_
_
_
_