Wednesday, August 20, 2025

বামপন্থী আইনজীবী-নেতাদের বিতর্কিত ছবি বিচারপতিদের হাতে দিয়ে দ্বিচারিতার মুখোশ খুলে দিলেন কল্যাণ

Date:

আদালত অবমাননা মামলায় সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চের সামনে সিপিএম ও বিরোধীদের কিছু আইনজীবী ও নেতার দ্বিচারিতার মুখোশ খুলে দিলেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) তরফের আইনজীবী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। এদিন কুণালের হলফনামার ব্যাখ্যা করেন তিনি।

বিচারপতিদের হাতে এখন সব ছবি আছে। যাঁর বা যাঁদের হয়ে চাকরি চাইছিলেন CPIM নেতারা, এখন তাঁদের চাকরির বিরোধিতা করছেন, তাঁদের নামেই মামলা করছেন। সিপিএমের নোংরা দ্বিচারিতা কুণালের হলফনামায় সবিস্তারে ছবি-সহ রয়েছে। যাঁকে পাশে নিয়ে ছবি, আজ সেই নাকি ওদের এক নম্বর অভিযুক্ত। এসব মুখোশ এদিন আদালতে খুলে দিয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

SLST শারীরশিক্ষা, কর্মশিক্ষা প্রার্থীদের আদালত চত্বরে এক বিতর্কিত বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে এই আদালত অবমাননার মামলা। প্রধান বিচারপতি এই মামলার জন্য তিন বিচারপতির একটি বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেন। বিক্ষোভকারীদের কয়েকজনের সঙ্গে একদম শেষে কুণাল ঘোষের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বিক্ষোভ চলাকালীন চত্বরেই উপস্থিত ছিলেন না। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে রাম-বাম মৃত এই ষড়যন্ত্র করে। ঘটনার দিনে কুণাল বিতর্কিত ঘটনাস্থলে ছিলেন না- তার প্রমাণ এদিন আদালতে পেশ করা হয়। বিকাশ ভট্টাচার্য, ফিরদৌস শামিমরা যে কর্মপ্রার্থীদের আন্দোলনে মঞ্চে গিয়েছেন, তাঁদের হয়ে মামলা লড়েছেন, তাঁরা চাকরি পাওয়ার পরে তাঁরাই সেই চাকরির বিরোধিতা করে মামলা করেছেন। এই দ্বিচারিতা নীতিগতগতভাবে ঠিক নয়। কল্যাণ আদালত জানান, কর্মপ্রার্থীদের এই ক্ষোভই সাংবাদিক বৈঠকে বারবার তুলে ধরেন কুণাল ঘোষ।

কল্যাণের কথায়, শুধু পেশাদার আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ আইনজীবীর তফাৎ আছে। যাঁরা মঞ্চে যান, একের পর এক টিভি চ্যানেলে গিয়ে রাজনৈতিক বিবৃতি দেন, মুখ্যমন্ত্রী-সহ সরকার ও দলের সমালোচনা করেন। তৃণমূলের মুখপাত্র হিসেবে এই সবের জবাব দেওয়ার অধিকার আছে কুণাল ঘোষের আছে।

কুণালের আইনজীবী হাই কোর্টে (Calcutta High Court) জানান, বিচারব্যবস্থা, আদালত, বিচারপতিদের পূর্ণ সম্মান করেন। কিন্তু অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের চেয়ারে বসে রাজনৈতিক সংলাপ, চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যাওয়ার ঘটনায় সামগ্রিকভাবে বিচারব্যবস্থার ভাবমূর্তিতে কিছুটা ধাক্কা লেগেছে।

এর পরেই কল্যাণ জানান, এটা আদালতের ‘সুয়ো মোটো’ মামলা হতে পারে না। কারণ কেস রেকর্ডে একপক্ষের পিটিশনের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। সেই পিটিশন এবং আইনি পদ্ধতি কেন যথাযথ হয়নি, ব্যাখ্যা করেন আইনজীবী।

এই আদালত অবমাননার মামলার দ্বিতীয় দিনেও কুণালের পক্ষের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সওয়াল শেষ হয়নি। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। কল্যাণের সঙ্গে এদিন কুণালের তরফের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন অয়ন চক্রবর্তী, রাহুল মিশ্র। এই মামলাতেই কোর্টে ছিলেন আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্যও।

Related articles

শিয়ালদহে ফিল্মি ড্রামা! কাঞ্চনার ‘রণচণ্ডী’ রূপে চমকাল যাত্রীরা

সকালের ব্যস্ত শিয়ালদহ স্টেশন হঠাৎ যেন সিনেমার সেট! নিত্যযাত্রীদের ভিড়ের মধ্যেই হাজির টলিপাড়ার পরিচিত মুখ কাঞ্চনা মৈত্র। গায়ে...

পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতে কেন্দ্রকে চিঠি রাজ্যপালের, পাল্টা দাবি তৃণমূলের

রাজ্যের প্রায় ২১ লক্ষাধিক পরিযায়ী শ্রমিকের দুর্দশা নিয়ে কেন্দ্রকে সরাসরি চিঠি দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজভবন...

সুন্দরবনে বাড়ল কুমিরের সংখ্যা

সুন্দরবনে বাড়ল নোনা জলের কুমিরের সংখ্যা। বন দফতরের সর্বশেষ সমীক্ষা অনুযায়ী এখন এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আনুমানিক ২৪২-এ। এর...

খড়্গপুর স্টেশনে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লোহার বিমে চাপা পড়ে প্রাণ গেল ৮ বছরের শিশুর

খড়্গপুর রেলস্টেশমে মর্মান্তিক ঘটনা। লোহার বিম পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল আট বছরের এক শিশুর। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুর রেলস্টেশনের...
Exit mobile version