আইন কলেজের ছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনায় রাজ্য প্রশাসন যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে রাজনৈতিক দল থেকে নির্যাতিতার পরিবার আস্থা প্রকাশ করেছে কলকাতা পুলিশের তদন্তে। এখনও পর্যন্ত রাজ্য প্রশাসন এমন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি যা তদন্তের গতির বিমুখে। সেখানেই বাংলার শাসকদলের বিরুদ্ধে কোনও অস্ত্র না পেয়ে কুৎসার রাজনীতিতে মেতেছে বিরোধী ও এক শ্রেণির সংবাদ মাধ্যম। সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার (Manas Bhunia) বক্তব্যের নির্দিষ্ট অংশকে তুলে অপব্যাখ্যা (misquoted) করায় কুৎসার জবাব দিলে মন্ত্রী নিজেই। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপির কুৎসায় মানহানি (defamation) সম্পর্কে সতর্ক করা হল।
মঙ্গলবার ডক্টর্স ডে-তে একটি অনুষ্ঠান যোগ দিয়ে মন্ত্রী তথা চিকিৎসক মানস ভুঁইয়া চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিভিন্ন অভিযোগের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে উদাহরণ তুলে ধরে ‘ছোট ঘটনা’ শব্দ ব্যবহার করেন। সেই বক্তব্যকে অপব্যাখ্যা করে কসবার আইন কলেজের ঘটনার সঙ্গে জুড়ে প্রচার চালায় বিজেপির আইটি সেল ও এক শ্রেণির সংবাদ মাধ্যম। পাল্টা মানসের ব্যাখ্য়া, আমার জন্ম প্রতিবাদ করে। সিপিএমের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে লড়াই করে আমার জন্ম। অত্যন্ত মর্মাহত আমি। আমার নামে বিকৃতভাবে একটা ঘটনাকে দিয়ে আরেকটা ঘটনা চাপিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। এবং তাতে মঙ্গলকোটের ঘটনা টেনে আনা হচ্ছে। আমার আত্মসম্মান রক্ষা করার অধিকার গণতন্ত্র আমাকে দিয়েছে। স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর বিধানবাবুর পরে কত ভালো কাজ করেছেন। ৩৪ বছর সিপিআইএম অন্ধকারের রাজত্বে সব শেষ করে দিয়েছিল।
অতীতের সঙ্গে তুলনা করে বক্তব্য পেশের সময়ে যেভাবে সেই বক্তব্যকে তাঁরই বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে, তার উল্লেখ করে মন্ত্রী মানস জানান, এইসব কথা যখন বলে বেরিয়ে আসছি একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন কসবার ঘটনা ছোট ঘটনা। আমি কখনও বলিনি। আমি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অতীতেও কত ঘটনা ঘটেছে। দশ বছর আগে কত ঘটনা। কসবার ঘটনার কথা কোথায় বললাম? আমার বক্তব্যের সঙ্গে কোথায় কসবা সম্পর্কিত? এটা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর, ইচ্ছাকৃত, অপদস্ত করা, অপমানিত করার জন্য এই কথাটা জুড়ে দেওয়া হল।
ইতিপূর্বে দলের কোনও সদস্য কোনও ধরনের অপ্রীতিকর বা অবমাননাকর, অপ্রাসঙ্গিক কথা বললে তৃণমূলের পক্ষ থেকেই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইন কলেজের গণধর্ষণে বিধায়ক মদন মিত্রের বক্তব্যে তাঁকে শো-কজ করা হয়েছে। তিনি তার উত্তরে নিজের ভুলও স্বীকার করেছেন। কিন্তু যেখানে চিকিৎসক মানস কসবা কলেজ নিয়ে কোনও কথাই বলেননি সেখানেও তাঁর নামে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। সেখানেই মানস ভুঁইয়ার চ্যালেঞ্জ, আমার ৫২ বছরের রাজনৈতিক জীবন। ৪৪ বছরে পড়েছে আমার বিধায়ক হিসাবে। কোনও জায়গায় আমি খারাপ কাজকে সমর্থন করেছি এটা যদি কেউ দেখাতে পারে হাত জোড় করে মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেব।
আরও পড়ুন: টেলি মেডিসিনে নয়া সাফল্যে রাজ্যের: গর্বিত মুখ্যমন্ত্রী
দলের পক্ষ থেকেও এক্ষেত্রে মন্ত্রীর পাশে দাঁড়ানো হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, মানস ভুঁইয়ার বক্তব্যকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে বিদ্বেষের সঙ্গে টেনে এনে ভুল ব্যাখ্যা করে ব্যাপকভাবে সম্প্রচার করা হয়েছে। মানস ভুঁইয়া তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়ার পাশাপাশি কসবা কলেজের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি তৃণমূলের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়, বিজেপির জানা উচিত মানহানিরও যথাযথ ফল ভোগ করতে হয়। মিথ্যা যত জোরেই বলা হোক না কেন, সত্য প্রকাশিত হবেই।
.@BJP4India has launched a full-scale smear campaign.
An excerpt from Shri @ManasB_Official‘s speech has been maliciously taken out of context, misquoted, and circulated to mislead viewers about the Kasba incident.
Shri Manas Bhunia has issued a strong clarification,… pic.twitter.com/CSYh8py0Sb
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) July 1, 2025
–
–
–
–
–
–
–