বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে তত নানা ইস্যু তৈরি করে শাসক দল তৃণমূলের বিরোধিতার রাজনীতি শুরু করছে বিজেপি। পুরোনো ঘটনা, যার তদন্ত কখনই শেষ করতে পারে না সিবিআই (CBI), সেই সব ঘটনাকে সাজিয়ে নতুন করে সামনে আনা হচ্ছে বিজেপির তরফে। বিজেপির দোসর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি। সেই পন্থায় নতুন সংযোজন অভিজিৎ সরকার হত্যা মামলা। সেই মামলায় দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট (supplementary chargesheet) পেশ করল কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। তবে এই চার্জশিটকে নিতান্তই রাজনৈতিক লিফলেট (leaflet) বলে দাবি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের।
২০২১ সালে অভিজিৎ সরকার হত্যা মামলার দায়িত্বভার গ্রহণ করার পরে প্রথম চার্জশিট ২০২১ সালেই পেশ করেছিল সিবিআই। সেখানে ২০ অভিযুক্তের নাম ছিল। আশ্চর্যজনকভাবে এই ২০ জনের মধ্যে ১৫ জন নাম কলকাতা পুলিশের তদন্ত চলাকালীন চার্জশিটে (chargesheet) পেশ করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও এই মামলায় চার বছর ধরে কোনও কিনারা করতে পারেনি সিবিআই। অবশেষে বুধবার দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করা হল শিয়ালদহ আদালতে (Sealdah Court)। সেখানে নাম রয়েছে ১৮ জনের। নাম রয়েছে বিধায়ক পরেশ পাল, দুই তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার ও পাপিয়া ঘোষের।
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন ২০২৬ সালে। তার আগে পুরোনো মামলার চার্জশিট যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত তা স্পষ্ট করে তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ দাবি করেন, ভোটের আগে ইচ্ছাকৃতভাবে বিজেপির চাপে এই ধরনের চার্জশিট (chargesheet) দেওয়া হয়েছে। ওই চার্জশিট একটা রাজনৈতিক ইস্তাহার (leaflet)। সামনে নির্বাচন আসছে। বিজেপি আগেরদিন এই সব নিয়ে বড় বড় কথা বলছিল। এর জন্য এদের নাম জড়িয়ে এই কাণ্ডটা ঘটানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কার্তিক মহারাজ মামলা: সময় চেয়ে আর্জি রাজ্যের
সেই সঙ্গে এই চার্জশিট যে আদালতে আদৌ টিকবে না সেই দাবি করে কুণাল বলেন, চার্জশিট দেওয়া মানেই সেটা ধ্রুবসত্য নয়। চার্জশিট দেওয়া মানেই যে গল্পটা লিখে দেওয়া হল, তারা দোষী এটা ভাববেন না। ওই চার্জশিট আদালতে উড়ে যাবে।
–
–
–
–
–
–
–
–
–