কেন্দ্রীয় বাজেটের জবাবি ভাষণে তৃণমূল সাংসদ তথা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) তুলে ধরেছিলেন কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির। যে প্রকল্প সাধারণ মানুষের হাতে অর্থ তুলে দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছিল, সেই সব প্রকল্পে কীভাবে অর্থ বরাদ্দ কমিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তারই সুদূর প্রসারী ফলাফল হিসাবে ক্রমশ যে উন্নতির পথে যাওয়ার কথা ছিল দেশের মানুষের, তা নিম্নগতি হয়েছে। এবার একই কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করির (Nitin Gadkari) মুখে। বিজেপির একাধিক নীতি নিয়ে বারবার প্রশ্ন তোলা মন্ত্রী স্পষ্ট দাবি করলেন দেশে গবির বেড়ে যাচ্ছে ও একাংশের হাতেই দেশের অর্থ কেন্দ্রীভূত (centralised) হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও জাতীয় সড়ক মন্ত্রী নিতিন গড়করি এর আগেও কেন্দ্রের একাধিক নীতির সমালোচনা করেছিলেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে যেভাবে চিকিৎসা বিমা ও স্বাস্থ্য বিমায় জিএসটি-র (GST) প্রতিবাদ করা হয়েছিল, তেমনই প্রতিবাদ গড়করিও করেছিলেন। এবার বিজেপি সরকারের মূল অর্থ নীতি নিয়েই প্রশ্ন তুললেন গড়করি। তিনি স্পষ্ট দাবি করেন, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এমন হবে যেন অর্থের কেন্দ্রীকরণ যেন না হয়। ধীরে ধীরে গরিব বেড়ে যাচ্ছে। আর কিছু সংখ্যক ধনীর হাতে সব সম্পত্তির কেন্দ্রীভূত করণ (centralised) হওয়া উচিত নয়।
সেখানেই গড়করির কথায় স্পষ্ট কীভাবে কেন্দ্রীয় অর্থনীতি একাংশের ধনী বিত্তশালীদের হাতে আরও উপার্যনের পথ করে দিচ্ছে। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের আর্থিক উন্নতির দিকেও যে মোদি সরকারের নজর নেই, স্পষ্ট গড়করির দাবিতে। ২০২৫ কেন্দ্রীয় বাজেটের (Union Budget 2025) আলোচনায় ঠিক এভাবে কেন্দ্রের জনবিমুখ নীতির সমালোচনা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি একের পর এক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উদাহরণ তুলে ধরে সেই জনবিমুখ নীতি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে মোদি সরকারের আমলে বেকারত্ব বৃদ্ধির উদাহরণও তুলে ধরেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাতিল হবে অযোগ্য চিহ্নিতদের আবেদন: নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি অর্থনীতির পরিবর্তনের পক্ষেও সওয়াল করেন। তিনি বলেন, গদি ও সম্পত্তির বিকেন্দ্রীকরণ হওয়া প্রয়োজন। অর্থ ব্যবস্থার উন্নয়ন এমন হওয়া প্রয়োজন যাতে রোজগারের ব্যবস্থা প্রসারিত হয় আর গ্রামীণ ক্ষেত্রের উন্নয়ন হওয়া সম্ভব হয়।
–
–
–
–
–
–
–
–
–