পুলিশ কর্মীকে কুকথা তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের। সেই ইস্যুতে বীরভূম পুলিশ নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে তদন্ত চালাচ্ছে। তা সত্ত্বেও বারবার তদন্তে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে জাতীয় মহিলা কমিশন (NCW)। আদৌ তাদের এই হস্তক্ষেপ আইন সঙ্গত কি না, প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ বীরভূম পুলিশ সুপার আমনদীপ (SP, Amandeep)।
বোলপুরের আইসি-কে ফোনে অত্যন্ত অশ্লীল কথা বলায় বীরভূম পুলিশই মামলা দায়ের করেছে বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে। সেই মামলায় অনুব্রতকে থানায় তলব করে তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যে সেই ঘটনার অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। দুবার সেই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। কেন অনুব্রতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না, এই সব একাধিক প্রশ্ন তোলা শুরু করে দিল্লির মহিলা কমিশন (NCW)। কোনও ভাবে এই মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত না হয়েও তদন্তে প্রথম থেকে এভাবেই ‘অনধিকার প্রবেশ’ করার চেষ্টা চালিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন।
আরও পড়ুন: ‘রাজা’ কেউ চায় না: ট্রাম্পের পাল্টা ব্রিকস থেকে ব্রাজিল-বার্তা
তবে এখানেই শেষ নয়। মহিলা কমিশনকে রিপোর্ট না পাঠানোয় বীরভূম পুলিশ সুপারকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ১৪ জুলাই দিল্লিতে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তার আগেই কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ পুলিশ সুপার আমনদীপ (SP, Amandeep)। দিল্লিতে মামলার কেস ডায়েরি নিয়ে যেতে বলা নিয়েও কমিশনের (NCW) বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান পুলিশ সুপার। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মামলা দায়েরের অনুমতি দেন। বুধবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–