প্রকল্প রূপায়ণে গতি আনতে এবার প্রশাসনিক দফতরগুলিকে নির্দিষ্ট আর্থিক ক্ষমতা দিল রাজ্য সরকার। নবান্ন থেকে অর্থ দফতরের জারি করা নতুন নির্দেশিকায় কমিয়ে আনা হয়েছে প্রকল্প অনুমোদনের ঊর্ধ্বসীমা, যদিও দ্রুততা বজায় রাখতে কিছু ক্ষেত্রে প্রশাসনিক স্তরে ছাড়ও রাখা হয়েছে।
নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, জনপথ, সেচ ও জলপথ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি, জলসম্পদ উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ, নগরোন্নয়ন ও পুর বিষয়ক, এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়ন দফতরের সচিবরা এখন সর্বোচ্চ ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত প্রকল্পে প্রশাসনিক ও আর্থিক অনুমোদন দিতে পারবেন। তবে এই অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট আর্থিক উপদেষ্টার সম্মতি আবশ্যিক।
পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন এবং সুন্দরবন বিষয়ক দফতরের জন্য অনুমোদনের সীমা নির্ধারিত হয়েছে ১ কোটি টাকা। আবাসন, শিল্প ও বাণিজ্য, ক্ষুদ্র-মাঝারি ও বস্ত্র শিল্প এবং গৃহ ও পার্বত্য বিষয়ক দফতরের ক্ষেত্রে সীমা ৭৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। অন্যান্য দফতরের জন্য এই সীমা ৫০ লক্ষ টাকায় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর ঊর্ধ্বে কোনও প্রকল্প অনুমোদনের জন্য অবশ্যই অর্থ দফতরের ছাড়পত্র লাগবে।
২০২৩ সালের ২৮ অগস্ট যে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল, তাতে একাধিক দফতর ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত অনুমোদন দিতে পারত। সেই তুলনায় নতুন সীমা অনেকটাই কম। নবান্ন সূত্রের মতে, প্রকল্প রূপায়ণে যাতে দেরি না হয়, সেই উদ্দেশ্যেই এই নতুন কাঠামো তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যের আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে অনুমোদনের ঊর্ধ্বসীমা কমিয়ে আনা হয়েছে। প্রশাসনিক ক্ষমতা ও আর্থিক দায়িত্বের ভারসাম্য রেখে এই পদক্ষেপ রাজ্যের উন্নয়ন প্রকল্পগুলিকে আরও কার্যকর করে তুলবে বলেই মনে করছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন – বেকসুর খালাসের দাবিতে হাইকোর্টে সঞ্জয়
_
_
_
_
_
_
_
_
_
_