শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। নাহলে নষ্ট হয়ে যাবে ভবিষ্যৎ। ওড়িশায় কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রীকে বিভাগীয় প্রধানের এই প্রস্তাবের পর আর বেঁচে থাকা সঙ্গত মনে করেননি বালেশ্বরের (Balasore) পড়ুয়া। গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার (immolate) চেষ্টা পড়ুয়ার। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম এক ব্যক্তি। কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় শেষে এই চরম পথ বেছে নিতে বাধ্য হয় পড়ুয়া। সমাজের সব স্তরে নারীদের কীভাবে পণ্যের মতো জীবন নির্বাহ করতে হয় বিজেপি শাসিত ওড়িশায় (Odisha), এই ছাত্রীর মর্মান্তিক পরিণতিতে তা আরও একবার প্রকাশ্যে।
ওড়িশার বালেশ্বরের ফকির মোহন কলেজের বিএড-এর (B.Ed) এক পড়ুয়াকে বিভাগীয় প্রধান কুপ্রস্তাব (sexual harrasment) দেয়। তা নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগও জানায় ওই পড়ুয়া। কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে আশ্বস্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার আগে অভিযুক্ত অধ্যাপক তার ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেওয়ার হুমকি দেয়। প্রতিবাদে শনিবার কলেজের পড়ুয়ারা কলেজে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।
শনিবার সেই প্রতিবাদ চলাকালীন অভিযোগকারিনী পড়ুয়া আচমকা অধ্য়ক্ষের (principal) ঘরের সামনে চলে গিয়ে নিজের গায়ে পেট্রোল ঢেলে দেয়। সেখানেই গায়ে আগুন লাগিয়ে (immolate) দিলে কলেজের এক কর্মী তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। তার জামায় আগুন লেগে গেলে তিনি সরে আসেন। তবে তাঁরও শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। আগুন লাগা অবস্থায় পড়ুয়া কলেজের করিডোরে ছুটে বেড়ায়। শেষ পর্যন্ত ৯৫ শতাংশ পোড়া অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: কোথায় গেল শুভেন্দুর রোহিঙ্গা তত্ত্ব: ওড়িশায় পরিযায়ী সুজনকে মারধরে প্রশ্ন তৃণমূলের
কলেজের অধ্যক্ষ দাবি করেন, ছাত্রীর অভিযোগ নিয়ে কলেজের অন্তর্বর্তী কমিটি ইতিমধ্যেই তদন্ত চালাচ্ছে। যদিও সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে মুখ বাঁচাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয় ওড়িশা শিক্ষা দফতর। অভিযুক্ত বিভাগীয় প্রধান ও কলেজের অধ্যক্ষকে (principal) সাসপেন্ড করা হয়। সেই সঙ্গে তদন্ত কমিটি গঠন করে গোটা ঘটনায় তদন্ত চালানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে আগুনে গুরুতর আহত দুজনকে এইমস ভুবনেশ্বরে চিকিৎসা করা হচ্ছে।
–
–
–
–
–
–
–
–
–