কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র সংসদ (Student Union) নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি কবে জারি করবে রাজ্য- তা জানাতে হবে আগামী দু’ সপ্তাহের মধ্যে। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাস দের ডিভিশন বেঞ্চ। ছাত্র নির্বাচন নিয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় রাজ্য সরকারকে এই বিষয়ে জানিয়ে দ্রুত হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)।

আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayan Banerjee) বছর দশেক ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়া নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। ওই মামলায় তিনি প্রশ্ন তোলেন, “২০১৭ সালে রাজ্য সরকার ছাত্র সংসদ (Student Union) নির্বাচন সংক্রান্ত রুল তৈরি করলেও এতদিনেও কেন নির্বাচন হয়নি?” তাঁর বক্তব্য, “এই নির্বাচনের জন্য উপাচার্যের প্রয়োজন পড়ে না। তাহলে এত বছর রাজ্য সরকার কী করছিল?”

অন্যদিকে, এদিন রাজ্যের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) জানান, ”বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও স্থায়ী উপাচার্য নেই। সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয় নিয়ে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ফলে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যরাই বর্তমানে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন।”

সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, রাজ্য ছাত্র সংসদ নির্বাচন করবে কি না, করলে কীভাবে করবে, এবং তার জন্য রাজ্যের প্রস্তাব কী তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে রাজ্যকে।

কসবার আইন কলেজে (Kasba Law College) ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্র ইউনিয়ন ঘরের উপযোগিতা নিয়ে চর্চা চরমে উঠলে কলকাতা হাইকোর্ট গোটা রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ইউনিয়নের ঘর বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল।
আরও খবর: ভেঙে ফেলা বাড়িটি সত্যজিতের নয়! আজব দাবি বাংলাদেশি আধিকারিকের
–

–

–

–

–

–

–

–
–