কলকাতা পুরসভার তালিকায় হেরিটেজ বিল্ডিং(Heritage Building)। অথচ, সেই বাড়িতেই বেআইনি ভাবে চলছে অবৈধ নির্মাণ কাজ। বসানো হচ্ছে ভাড়াটিয়া। ২৬, জওহরলাল নেহরু রোডে দাঁড়িয়ে থাকা ১০০ বছরের পুরোনো ওই বাড়ির বেআইনি নির্মাণ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভাকে(KMC) রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court)।

এই মামলায় একজন আবেদনকারী দাবি করেছেন, তিনি রাজ্য সরকারের আওতাধীন মুর্শিদাবাদ এস্টেট ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট দ্বারা পরিচালিত ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া এবং তিনিই আদালতে কলকাতা পুরসভার নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে মামলা দায়ের করেন।

অন্যদিকে, কলকাতা পুরসভার আইনজীবী এদিন আদালতে জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুরসভা ইতিমধ্যেই প্রক্রিয়া শুরু করেছে এবং যিনি এই বেআইনি নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ, তাঁর শুনানির দিনও নির্ধারিত করা হয়েছে।

অন্যদিকে, আবেদনকারীর আইনজীবী আদালতে জানান, কলকাতা পুরসভা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগের ব্যাপারে নিষ্ক্রিয় থেকেছে। তাই আদালতের কাছে তাঁর আবেদন, যাতে কলকাতা পুরসভাকে জানাতে বলা হয় যে সংশ্লিষ্ট বাড়িটি পুরসভার অনুমোদনপ্রাপ্ত কি না। তিনি আরও বলেন, যদি কোনো অনিয়ম থাকে, তাহলে কেএমসি আইনের (KMC Act) ৩৯০ নম্বর ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া আবশ্যক।

প্রতিপক্ষের আইনজীবীরা আবেদনকারীর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলে জানান, আবেদনকারী এমন সময়ে এই মামলা দায়ের করেছেন, যখন একটি দেওয়ানি আদালত তাঁর বিরুদ্ধে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছে। এমন কি তিনি ভাড়াটিয়া নন বলেও দাবি করেন এক আইনজীবী।

এর পরিপ্রেক্ষিতে আবেদনকারীর আইনজীবী উচ্ছেদের নির্দেশের বিষয়টি অস্বীকার না করলেও আদালতকে জানান, তিনি সেই আদেশের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ফোরামে আপিল করেছেন এবং বর্তমানে সেই উচ্ছেদের উপর স্থগিতাদেশ (stay order) রয়েছে।

সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর, বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্ত কলকাতা পুরসভাকে দু’সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরের এক সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে হবে প্রতিপক্ষদের। মামলার পরবর্তী শুনানি চার সপ্তাহ পর।
আরও পড়ুন – রিল যখন রিয়্যাল! আইসিইউতে ঢুকে রোগীকে খুন নীতীশের বিহারে
_

_
_
_
_
_
_