ধর্মের পরে বিজেপি এবার জাতি বিভাজনের রাজনীতিতে। মেরুকরণের শেষ সীমায় না পৌঁছে যে থামবে না বিজেপি নেতারা, স্পষ্ট করে দিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফাড়নবিশ (Devendra Fadnavis)। ফতোয়া জারি করা হল, হিন্দু, বৌদ্ধ ও শিখ ধর্মাবলম্বী ছাড়া আর কোনও জাতিকে তফশিলি জাতির শংসাপত্র (SC certificate) দেওয়া হবে না।

আচমকা জাতি শংসাপত্র নিয়ে রাজনীতির ময়দানে দেবেন্দ্র ফাড়নবিশ। তাঁর দাবি, ধর্মীয় স্বাধীনতার নামে ধর্মান্তকরণের অপপ্রয়োগ করা হয়েছে। যার ফলে ‘ক্রিপ্টো খ্রীষ্টান’ (crypto Christian) সম্প্রদায় বেড়ে গিয়েছে। সেই পথে অন্য কেউ ইতিমধ্যেই তফসিলি জাতির শংসাপত্র (SC certificate) পেয়ে থাকলে তা বাতিল করে দেওয়া হবে। ধরে নেওয়া হবে, প্রতারণা করে এই সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। ওই সার্টফিকেটের ভিত্তিতে কেউ কোনও সুযোগ-সুবিধা বা সরকারি চাকরি আদায় করে থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা।

এখানেই থেমে থাকেননি তিনি, জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি (elected candidate) হলেও রেহাই পাবেন না কেউ। যদি প্রমাণিত হয়, নিয়মবহির্ভূতভাবে শংসাপত্র জোগাড় করে কোনও প্রার্থী নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন এবং জয়ী হয়েছেন, তবে তাঁর নির্বাচনও বাতিল করে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: রামনাম ছেড়ে, এবার দুর্গা-কালীর শরণে মোদি! কটাক্ষ তৃণমূলের

তার ফলে এবার মহারাষ্ট্রে তফশিলি জাতি থেকে বাদ পড়তে চলেছেন খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ। বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিতর্কের ঝড় উঠেছে মহারাষ্ট্র জুড়ে। বিরোধীদের বক্তব্য, এই ফরমান শুধু গণতন্ত্রের অবমাননা নয়, মানবিকতারও অপমান। সংকীর্ণ ধর্মীয় জাতপাতের রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা।

–

–

–
–

–

–
–
–
–