আরকেএম পাওয়ারজেন প্রাইভেট লিমিটেডের(RKM Power Gene Private Limited) বিরুদ্ধে একটি মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) ভূমিকা ও এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলল মাদ্রাজ হাই কোর্ট(Madras High Court)। বিচারপতি এমএস রমেশ ও বিচারপতি ভি লক্ষ্মীনারায়ণের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ইডি কোনও ‘আত্মঘাতী ড্রোন’ নয় যে ইচ্ছামতো আক্রমণ চালাতে পারে বা তারা কোনও ‘সুপার কপ’(Super Cop) নয় যে যেকোনও বিষয়ে তদন্তের অধিকার রাখে।

ওই মামলায় ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (পিএমএলএ)-এর অধীনে ইডি শুধুমাত্র তখনই পদক্ষেপ নিতে পারে, যদি কোনও নির্দিষ্ট ‘প্রেডিকেট অপরাধ’ (মূল অপরাধ) ঘটে থাকে বা তার আশঙ্কা থাকে। যদি এমন অপরাধের কোনও ইঙ্গিত না থাকে, তাহলে ইডির তরফে তদন্ত শুরু করা আইনবিরুদ্ধ।

প্রসঙ্গত, আরকেএম পাওয়ারজেনের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে প্রথমে সিবিআই তদন্ত শুরু করেছিল, যার ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের হয়। তবে ২০১৭ সালে সিবিআই সেই তদন্ত বন্ধ করে দেয়। তার আগেই, ২০১৫ সাল থেকে পিএমএলএ আইনের আওতায় আলাদা তদন্ত চালাচ্ছিল ইডি। গত ৩১ জানুয়ারি, ইডি(ED) ওই সংস্থার ৯০১ কোটি টাকার স্থায়ী আমানত ফ্রিজ(freeze) করে দেয়।

এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সংআরকেএম পাওয়ারজেনের তরফে মাদ্রাজ হাই কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। ওই সংস্থার পক্ষের আইনজীবী বি কুমার আদালতে বলেন, ইডির কাছে কোনও নতুন তথ্য নেই এবং তারা পূর্ববর্তী আদালতের রায় উপেক্ষা করে পদক্ষেপ নিয়েছে। এই মামলায় সব পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত ইডির পদক্ষেপ অবৈধ ঘোষণা করে এবং স্থায়ী আমানত ফ্রিজ করার নির্দেশ বাতিল করে দেয়। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, মাদ্রাজ হাইকোর্টের এই রায় তদন্তের ক্ষেত্রে ইডির সীমারেখা কতটা হওয়া উচিত তা স্পষ্ট করে দিল। আরও পড়ুন : এক নারীকে দুই ভাই বিয়ে করে ‘গর্বিত’! নারীর সম্মানের পক্ষে সরব তৃণমূল

–
–

–

–

–
–
–

–

–
–
–