নির্বাচনে সচিত্র পরিচয় পত্রের দাবিতে ২১শে জুলাইয়ের আন্দোলন শুধুমাত্র বাংলা নয়, ভারতের ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক অধ্যায়। সেই আন্দোলনের উপর সিপিআইএম-এর পুলিশের নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল। গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করে তারা এমনভাবে গুলি চালিয়েছিল যে প্রায় দুশো মানুষ আহত ও ১৩ জন নিহত হয়েছিলেন। তাঁদের রক্তের বিনিময়ে দেশের মানুষ সচিত্র পরিচয়পত্রসহ ভোটদানের অধিকার অর্জন করেছেন। তারপরেও সেই বাংলাতেই শহিদ স্মরণ করতে গিয়ে বাধা। তবে ধর্মতলাতেই যে শহিদদের তর্পণ হবে, ২০২৫-এর একুশে জুলাইয়ের (Ekushe July) প্রাক্কালে স্পষ্ট বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
একুশে জুলাইয়ের শহিদ স্মরণ ধর্মতলা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত দীর্ঘদিন ধরেই করেছে বিরোধীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃঢ় মানসিকতার কাছে সেই চক্রান্ত বারবার বিফল হয়েছে। যে জোর থেকে সেই লড়াই করার শক্তি তিনি পান, তা রবিবার ধর্মতলায় শহিদ স্মরণের প্রাক্কালে ব্যক্ত করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, প্রায় ৩৩ বছর ধরে এই জায়গাটায় হয় তার কারণ এখানে অনেকগুলো প্রাণ লুটিয়ে পড়েছিল। আর এই এলাকাটায় রক্তের বন্যা বয়ে গিয়েছিল। তাই আমাদের বছরে একটাই প্রোগ্রাম শহিদ স্মরণ – আমার এখানে করি।
কখনও আদালতে মামলা, কখনও পাশাপাশি অন্য অনুষ্ঠান করে শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানকে বানচাল করার ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালিয়ে যায় বিরোধীরা। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আদালত বেঁধে দিয়েছে মিছিলের ও সমাবেশ শুরুর সময়। যে আন্দোলন স্বচ্ছ ভোটাধিকারের পথ প্রশস্ত করেছিল গোটা দেশে, সেই আন্দোলনকে বানচাল করার চক্রান্তকারীদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, অনেকে আপত্তি জানান। তাদের আমরা বলি তারা যখন নবান্ন অভিযান করেন পুলিশের অনুমতি ছাড়া তখন আপত্তিটা কোথায় থাকে। আমাদের প্যারালাল গ্রোগ্রাম তাদের করতে হয়। তাদের যখন কেন্দ্রীয় প্রোগ্রাম থাকে আমরা তো প্যারালাল প্রোগ্রাম (parallel programme) থাকে না। তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত, দেখা উচিত।
সেই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট করে দেন কেন বিজেপি নেতারা শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানের সময়েই যে বাধা দেওয়ার চেষ্টা চালান, তার পিছনে যে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে তাও স্পষ্ট করে দেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর দাবি, ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলোতে বিজেপি কাউকে ভোট দিতে দেয় না। আর এখানে সিপিআইএম শাসিত রাজ্য তো পশ্চিমবঙ্গ। আমরা হাতে নাতে প্রমাণ পেয়েছি।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–