ওড়িশায় ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে দেশজুড়ে। অগ্নিদগ্ধ ওই কিশোরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার রবিবার ওই কিশোরীকে ভুবনেশ্বর থেকে দিল্লির এইমস-এ এয়ারলিফ্ট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও ঘটনার বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও এখনও অবধি তিন অভিযুক্তই অধরা।

প্রসঙ্গত, ৭০-৭৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় ওই নাবালিকাকে প্রথমে ভর্তি করা হয়েছিল ভুবনেশ্বরের এইমস-এ। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নততর চিকিৎসার জন্য তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করা হয়। কিশোরীর দ্রুত এবং নিরাপদ স্থানান্তরের জন্য ভুবনেশ্বরের হাসপাতাল থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ‘গ্রীন করিডোর’ তৈরি করা হয়।

এইমস সূত্রে জানা গেছে, কিশোরীর হাত-পা, পিঠ এবং ধড়ের বেশিরভাগ অংশে গভীর দগ্ধ চিহ্ন রয়েছে। যদিও এখনও তাঁকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়নি, তবে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টা তার প্রাণ রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এইমস ভুবনেশ্বরের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. সঞ্জয় গিরি জানান, দিল্লির চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে কিশোরীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি শনিবার এইমস কর্তৃপক্ষ ১৪ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কমিটি গঠন করেছে, যারা কিশোরীর চিকিৎসা ও অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন।

এদিকে, ওডিশার উপমুখ্যমন্ত্রী প্রবতী পরিডা জানিয়েছেন, কিশোরীর চিকিৎসার সমস্ত ব্যয় রাজ্য সরকার বহন করবে। তবে এখনও অবধি তিন অভিযুক্ত অধরাই রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তাদের সন্ধানে জোর তল্লাশি চলছে। এই নির্মম ঘটনায় রাজ্যজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষ ও শিশু অধিকার সংগঠনগুলি দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘটনার পর এতদিন কেটে গেলেও অভিযুক্তরা ধরা না পড়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং কিশোরীর জন্য ন্যায়বিচার দাবি করছেন সকলে।

আরও পড়ুন – ইডি কোনও ‘আত্মঘাতী ড্রোন’ নয়, আরকেএম পাওয়ারজেন মামলায় ইডির এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন মাদ্রাজ হাই কোর্টের

_

_
_

_

_
_
_
_
_