রাত থেকে একটানা বৃষ্টিতে (Heavy rain) ব্যাহত হাওড়া- শিয়ালদহ শাখার ট্রেন পরিষেবা (Howrah Sealdah Rail)। চিৎপুর রেল ইয়ার্ডে জল, হাওড়া ঢোকার মুখে কারশেডের কাছেও রেল ট্র্যাক ডুবেছে। ভোর থেকে এক নাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ায় শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় (Sealdah south division) বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত এবং কয়েকটি সিগন্যাল খারাপ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যার জেরে বিপর্যস্ত লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেন পরিষেবা। নির্ধারিত সময় থেকে যথেষ্ট দেরিতে চলছে ট্রেন। ভোগান্তি যাত্রীদের। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও ট্রেন বাতিলের ঘোষণা হয়নি। কোথাও মাঝারি কোথাও ভারী বৃষ্টির জেরে কলকাতা (Kolkata) তো বটেই, বিভিন্ন জেলার বিস্তীর্ণ এলাকাও কার্যত জলমগ্ন। আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Weather Department) বলছে, বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গতেও ভারী দুর্যোগের আশঙ্কা!

পূর্বাভাস সত্যি করে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বৃষ্টির যে দুর্যোগ ইনিংস শুরু হয়েছে, শুক্রবার সকালেও তার দাপট অব্যাহত। দক্ষিণের সব জেলায় ভারী বর্ষণের বিপর্যস্ত জনজীবন। পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়ায় লাল সর্তকতা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়ায় অতি ভারী বৃষ্টির হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের আট জেলায় আজ ঝড়বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। সঙ্গে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া চলবে। মৎস্যজীবীদের জন্য সমুদ্রে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আবহবিদেরা।

একটানা বৃষ্টির জেরে পার্ক স্ট্রিট, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, কলেজ স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া, বিবেকানন্দ রোড–সহ কাঁকুড়গাছির বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলমগ্ন (Water logged Kolkata)। শহরের বড় রাস্তাগুলিতে জল জমে যাওয়ায় ট্র্যাফিক ব্যাহত হয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আগামী সোমবার পর্যন্ত চলতে পারে।উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে জলস্তর বৃদ্ধির আশঙ্কার পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক নিচু এলাকাও নতুন করে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

–

–

–

–

–
–

–

–
–