আটকে রেখে অকথ্য অত্যাচার! চাপে পড়ে অবশেষে মুক্ত গুরগাঁওয়ে আটক বাংলার শ্রমিকরা

Date:

Share post:

বাংলায় কথা বলাও আজকাল যেন ভীষণ অপরাধ। গুরুগাঁওয়ে (Gurgaon) বাংলার ৩০ পরিযায়ী শ্রমিককে (migrant labours) আটক করে লাগাতার অকথ্য অত্যাচার বিজেপি পুলিশের। তারপর বাংলা ভাষা ও বাঙালিদের উপর বিজেপির পরিকল্পিত সন্ত্রাসের প্রতিবাদে তৃণমূল-সহ বিরোধী সাংসদদের বিক্ষোভে সংসদ ভবন উত্তাল হওয়ায় চাপে পড়ে সেই শ্রমিকদের ছেড়ে দিল পুলিশ। শুক্রবারই তাঁদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে বিজেপির ঝান্ডাধারী পুলিশবাহিনী।

বাংলা বলার অপরাধে বাংলার বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা ৩০ শ্রমিককে বৈধ নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও তুলে নিয়ে গিয়ে গুরগাঁওয়ের ডিটেনশন ক্যাম্পে (detention camp) আটকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু সংসদে তৃণমূল-সহ বিরোধী জোটের তীব্র প্রতিবাদেই মুক্তি পেল তাঁরা। ইতিমধ্যেই আটকে থাকা শ্রমিকরা বাংলায় ফিরে আসছেন। এখানেই তৃণমূলের প্রশ্ন, বৈধ নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও কেন আটক করে অত্যাচার বাংলার শ্রমিকদের? বাংলাদেশি খোঁজার নামে বাংলার বাসিন্দাদের হেনস্থা কেন? বাংলায় কথা বলার জন্য তাঁদের উপর যে অত্যাচার হয়েছে, তা যেমন অগণতান্ত্রিক তেমনই অমানবিক! এই অত্যাচারের জবাব ইঞ্চিতে-ইঞ্চিতে গণতান্ত্রিক উপায়ে দেবে আপামর বাংলা।

আরও পড়ুন: কেন্দ্রের চা-বাগানের ক্রেশ যেন টিনের গোয়াল! ভিডিও দিয়ে মিথ্যাচার ফাঁস ঋতব্রতর

অন্যদিকে, ৪টি বিজেপি-শাসিত রাজ্যে বাংলায় কথা বলায় আটক হওয়া নদিয়ার ১০৭ জন পরিযায়ী শ্রমিককে উদ্ধার করল কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলা। আটক শ্রমিকদের মুক্তির জন্য উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, গুরগাঁও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাজ্য পুলিশের। বিজেপির স্বৈরাচারী পুলিশের হাতে অত্যাচারিত নদিয়ার শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে জোর তৎপর কৃষ্ণনগর পুলিশ।

বেআইনিভাবে গুরুগ্রামে বাংলাভাষী শ্রমিকদের আটক করে রাখার পরে উল্টে বাংলার উপর দায় চাপানোর চেষ্টা চালিয়েছে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নবাব সিং সাইনি। পাল্টা নবাব সিং সাইনিকে নয় প্রশ্ন তৃণমূল সাংসদ তথা পরিযায়ী শ্রমিক উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলামের। সাংসদ প্রশ্ন তোলেন, ভারতে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়া কী অপরাধ? যদি তা না হয় তবে কেন বাংলার শ্রমিকদের পুলিশ দিয়ে হেনস্থা?

বাংলার অস্মিতা রক্ষায় বিজেপি সরকারগুলির উদ্দেশ্য প্রণোদিত অত্যাচারের বিরুদ্ধে পথে নামছে তৃণমূল। তার আগে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীকে বাংলা নিয়ে সামিরুল প্রশ্ন করেন, যদি বাংলায় কথা বললেই তারা বাংলাদেশী হয় তবে কী মুখ্যমন্ত্রী সাইনি রবীন্দ্রনাথকে চেনেন না, যিনি দেশের জাতীয় সঙ্গীত জনগণ মন রচনা করেছিলেন। সেই সঙ্গে স্পষ্ট করে দেন, যে ঘৃণা ও হিংসার রাজনীতির প্রচার তিনি করতে চাইছেন তার যোগ্য জবাব বাংলার মানুষ দেবেন।

spot_img

Related articles

বিজয়া দশমীতে শুভেচ্ছার বহর মোদির: ভোটের সমীকরণ!

আগে কবে দেশবাসীকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী, মনে করা দুষ্কর। যতদূর মনে পড়ে, ২০২০ সালের পর আবার এই...

পাক অধিকৃত কাশ্মীরে চরম উত্তেজনা, পাকসেনার গুলিতে মৃত্যু মিছিল

পাক অধিকৃত কাশ্মীরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের উপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ পাক সেনাবাহিনীর। পাকিস্তানি (Pakistan) সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ১৪...

এবার উমার বাড়ি ফেরার পালা, দেবী বরণের পরে শুরু বিসর্জন

পাঁচদিনের পুজো শেষে উমা চলেছেন কৈলাসে। মিষ্টি মুখে দিয়ে, পান দিয়ে বরণ করে, সিঁদুর পরিয়ে তাঁকে রওনা করছেন...

এক মুঠো ফুল দাও: দশমীর শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর, জানালেন দশেরার অভিনন্দনও

আবার এসো মা। আজ দশমী (Bijaya Dashami)। চারপাশে মন কেমনের পূর্বাভাস। কিন্তু তার মধ্যেও আশা যে আবার সামনের...