অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হতেই বিপত্তির শুরু। ভুল ওষুধের কারণে প্রায় অসাড় হয়ে পড়ে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা চন্দ্রকান্তা জেঠানির (Chandrakanta Jethani)। এখন হুইলচেয়ারে শরীরকে বেধে নিয়ে দিনে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা স্কুলে শিক্ষকতা করেন তিনি। বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে (Madhyapradesh) বারবার সরকারের কাছে আবেদন করেও এই জীবন থেকে মুক্তি মেলেনি সরকারি স্কুল শিক্ষিকার। একদিকে শরীরের অসহনীয় অবস্থা। অন্যদিকে ব্যয়সাপেক্ষ জীবন। সরকারের কাছে কোনও সাড়া না পেয়ে এবার রাষ্ট্রপতির (President Draupadi Murmu) কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর (euthanasia) আবেদন করলেন চন্দ্রকান্তা।
ভুল চিকিৎসার কারণে প্রথমে শরীরের শক্তি চলে যাওয়া শুরু হতেই হাসপাতাল থেকে বেগতিক দেখে শিক্ষিকা চন্দ্রকান্তাকে একটি আশ্রমে ভর্তি করা হয়। সেখানে রোগ মুক্তির বদলে কঠোর পরিশ্রমে আরও অসাড় হয়ে পড়ে তাঁর শরীর। বর্তমানে তিনি দুটি হাত সামান্য নাড়াতে, ঘাড় নাড়াতে ও পাশ ফিরতে পারেন। বাকি গোটা শরীর যেন জড় পদার্থ।
প্রশাসনের পরিহাসে এই শরীর নিয়ে দিনে ৭-৮ ঘণ্টা স্কুলে একভাবে শিক্ষকতা করেন তিনি। নিজের কর্তব্যে কোথাও গাফিলতির চিহ্ন নেই। শারীরিকভাবে তিনি আর বেশিদিন জীবন নির্বাহ করতে পারবেন না বুঝতে পেরে ইতিমধ্যে নিজের সব সম্পত্তি সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের পড়াশোনার উন্নতিতে দান করে দিয়েছেন। নিজের দেহ ডাক্তারি পড়ুয়াদের গবেষণার জন্য এমজিএম মেডিক্যাল কলেজে দানের জন্য অঙ্গিকারবদ্ধ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সংসদে অপারেশন সিন্দুর নিয়ে কী ব্যাখ্যা দেবেন মোদি: খোলসা করলেন CDS
এই পরিস্থিতিতে যেখানে জীবন চালিয়ে যাওয়া দুঃসহ, সেখানে স্কুলেও পড়াতে হচ্ছে তাঁকে। মধ্যপ্রদেশ সরকারের কাছে সেই বিষয়ে সাহায্যের আবেদন করেছেন তিনি বারবার। নারী বিদ্বেষী বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ সরকার স্বাভাবিকভাবেই সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি। এবার তাই তিনি নিজের জীবন শেষ করে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (President Draupadi Murmu) কাছে প্যাসিভ ইউথনেশিয়ার (passive euthanasia) আবেদন জানিয়েছেন। কারণ হিসাবে জানিয়েছেন, অসহনীয় শারীরিক পরিস্থিতি ও সরকারি সাহায্যের অভাব। বর্তমানে রাষ্ট্রপতির প্রত্যুত্তরের প্রতীক্ষায় মধ্যপ্রদেশের স্কুল শিক্ষিকা।
–
–
–
–
–
–
–
–
–