নানুরের বাসাপাড়ায় শহিদ স্মরণ মঞ্চ থেকে বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। রবিবার শহিদ দিবসে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “২০২৬-এ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলায় অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। ২০ থেকে ২৫টির বেশি আসন পাবে না।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলায় হিন্দু-মুসলমান বিভাজনের চেষ্টা করে বিজেপি সফল হবে না। বাংলায় দিদির নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ভাইয়ের নাম ফিরহাদ হাকিম।”

২০০০ সালের ২৭ জুলাই নানুরের সূচপুরে ঘটে যাওয়া ১১ জন খেতমজুর হত্যার স্মরণে এদিন শহিদ সভার আয়োজন করা হয়। তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছিলেন। সেই থেকে প্রতি বছর এই দিনটিকে ‘নানুর দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। এবছর দলনেত্রীর নির্দেশে ‘ভাষা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ’ এই মঞ্চ থেকেই শুরু হল।

শহিদ স্মরণ সভায় ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ, সাংসদ অসিত মাল ও জেলার একাধিক বিধায়ক।

ফিরহাদ হাকিম তাঁর বক্তব্যে বলেন, “বাঙালিদের উপর অত্যাচার চলছে। বিজেপি বাংলার সংস্কৃতি ধ্বংস করতে চায়। বাংলায় আমরা কোনও বিভেদ মানি না। রবীন্দ্রনাথকে প্রণাম করে বাংলার অধিকার রক্ষায় লড়াই চলবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে।” তিনি আরও বলেন, “ওড়িশার সঙ্গে বাংলার সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত মধুর। কিন্তু ডবল ইঞ্জিন সরকার আসার পর তা নষ্ট হয়েছে। বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করছে।”

এই সভা থেকে ফের একবার বাংলায় বিজেপির ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করল তৃণমূল নেতৃত্ব। দলীয় মহলের মতে, একুশের ২১ জুলাই ভাষণ ও ২৭ জুলাইয়ের নানুর দিবস—এই দুটি দিনেই তৃণমূল আগামী নির্বাচনের রূপরেখা স্পষ্ট করে দিল।

–

–

–
–

–

–
–
–
–