Monday, August 25, 2025

বাংলাভাষার উপর আক্রমণ মানব না, বিদ্যাসাগরের প্রয়াণ দিবসে শপথ মুখ্যমন্ত্রীর

Date:

বাংলা ভাষার (Bengali Language) উপর অত্যাচার মানব না। বিদ্যাসাগর-রবীন্দ্রনাথ-নজরুলের বাংলা ভাষা। তার উপর আক্রমণ হলে ছেড়ে কথা বলব না আমরা। বাংলাকে কেউ তাচ্ছিল্য করলে আমরা প্রাণ দিতে রাজি, কিন্তু বাংলার সম্মান নিয়ে খেলা করতে দেব না। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের (Ishwar Chandra Vidyasagar) প্রয়াণ দিবসে শপথ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)।

মঙ্গলবার বীরভূমের ইলামবাজারে প্রশাসনিক জনসভা ও পরিষেবা প্রধান অনুষ্ঠান থেকে বাংলার অস্মিতা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। একযোগে গর্জে উঠলেন কেন্দ্রীয় সরকার ও ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে। বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন, বাংলা ও বাঙালি প্রতি তোমার এত বিদ্বেষ, তোমাকে বাংলার মানুষই জবাব দেবে। মনে রেখো, বাংলা কারোর দয়ায় বাঁচে না। বাংলা স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্ম দিয়েছে। বাংলা নবজাগরণের জন্ম দিয়েছে। যখন ক্ষুদিরাম শহিদ হয়েছিলেন, তখন তোমরা কোথায় ছিলে? ইংরেজদের দালালি করছিলে। আর এখন তোমরা ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’-এর নামে বেটি জ্বালাও কর্মসূচি করছ। এরা ভোট আসলেই বলে ১৫ লক্ষ টাকা করে ব্যাঙ্কে দেব। কিন্তু ভোট চলে গেলে নো পাত্তা। ভোট আসলেই এটা দেব, ওটা দেব। ভোট চলে গেলেই সব কো মারেঙ্গে।

কেন্দ্রের বিজেপি সরকার শুনে রাখো, বাংলার ভিক্ষা করার দরকার নেই। বাংলা মাথা নিচু করতে জানে না। বাংলা মাথা উঁচু করে লড়াই করে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী সতর্ক করে দেন, ভোটার লিস্টের কাজ সব ভালো করে করবেন। অসুবিধা হলে বিএলও-দের বলবেন। বলছে কি না সবাই রোহিঙ্গা। ওদেরই জিজ্ঞেস করুন রোহিঙ্গাদের সংখ্যা কত।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন,
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে অসম, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, রাজস্থান এবং দিল্লির ডবল ইঞ্জিন সরকার বাংলাভাষীদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। সমস্ত নথি থাকা সত্ত্বেও জোর করে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখছে। থ্রেট করা হচ্ছে। আমি চাই ওরা ফিরে আসুক। গুরগাঁও, হরিয়ানায় দশটা ডিটেনসান ক্যাম্প করা হয়েছে। অসমের লক্ষ লক্ষ মানুষকে ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখেছে। তার মধ্যে সব ধর্মের মানুষ ছিল। আজকে প্রত্যেকের নাম নতুন করে ভোটার লিস্টে তোলার বাহানায় ঘুরপথে এনআরসি চালু করার চেষ্টা করছে। বাংলায় কেউ যেন ভোটার লিস্টের নাম তুলতে বাদ না রাখি। নাম বাদ গেলে আমি ওদের ছেড়ে বলব না। এটা আমার সাংবিধানিক অধিকার।ছাত্র-ছাত্রীরা যারা ১৮ বছরে পা দেবে তাদের সবাইকে ভোটার লিস্টে নাম তুলতে হবে এটা আপনাদের রক্ষাকবচ। সংখ্যালঘুরা যারা বাইরে কাজ করেন, তাদের শুধু ইদে আসলে হবে না‌। এখানে এসে থাকার চেষ্টা করুন। ভোটার লিস্টে নামটা তুলতে হবে। অন্যরা খেতে পেলে আপনারাও পাবেন। রাজবংশী মতুয়াদের উপর অত্যাচার হয়েছে। শীল পরিবারের উপর অত্যাচার হয়েছে। অসম সরকার বাংলার মানুষকে নোটিশ পাঠাচ্ছে। এদের লজ্জা করে না! এদের ধিক্কার জানাই।

Related articles

কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি: দু-মলাটে বাংলার দুর্গোৎসবের ৪৩৪ বছরের ইতিহাস

রবিবাসরীয় সন্ধেয় গড়িয়াহাটের একটি ব্যাঙ্কয়েটে আড্ডার আবহে প্রকাশিত হল সাংবাদিক-লেখক সম্রাট চট্টোপাধ্যায়ের বই 'কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি'। উপস্থিত...

তৃণমূল–সমাজবাদী পার্টির পথে এবার আম আদমি পার্টি! জেপিসিতে থাকছে না আপও 

সংবিধান সংশোধনী বিল খতিয়ে দেখতে গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিল আম আদমি পার্টি।...

মোদির বিরুদ্ধে সরব! হিটলারি কোপে লাদাখের সোনম ওয়াংচু

দফা এক দাবি এক। লাদাখের জন্য একই দাবিতে আজও অনড় সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচু (Sonam Wangchuk)। লাদাখের জমি, যা...

শান্তিপুরে মহিলা স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর ভোটে গোহারা বিজেপি! ২৬-৪-এ জয়ী তৃণমূল 

এসআইআর ইস্যু নিয়ে রাজ্যে বিজেপির মাতামাতির মধ্যে নদিয়ার শান্তিপুরে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ক্লাস্টার কমিটির নির্বাচনে বড় সাফল্য পেল...
Exit mobile version