নিচে তিস্তার খরস্রোতা, আর ওপরে সেতুর উপর দাঁড়িয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় নিউ জলপাইগুড়িগামী ১৫৭০৪ ডাউন বি.জি. প্যাসেঞ্জার ট্রেন। যাত্রীদের আতঙ্ক চরমে ওঠে যখন ট্রেনটি আচমকা থেমে যায় সেতুর মাঝখানে। জানা গিয়েছে, স্টেশন ঢোকার আগেই এক যাত্রী চেন টেনে ট্রেন থামিয়ে দেন। কিন্তু ট্রেন থেমে যাওয়ার পর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও কোনও রেল আধিকারিক বা কর্মী ঘটনাস্থলে আসেননি।

অবশেষে সহচালক কুমার সৌরভের সাহসিকতায় রক্ষা পায় যাত্রীদের প্রাণ। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি হামাগুড়ি দিয়ে ট্রেনের নিচে ঢুকে একে একে সব ভাল্ব ঠিক করে দেন। তাঁর এই দ্রুত পদক্ষেপেই আবার গতি ফিরে পায় ট্রেন। রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, গোটা ঘটনায় ট্রেনটি প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে সেতুর উপর আটকে ছিল।

স্থানীয়দের একাংশের দাবি, শ্রাবণ মাসে তিস্তার জল সংগ্রহ করে জল্পেশ শিবতীর্থে যাওয়ার বহু প্রাচীন রীতি রয়েছে। আগে তিস্তা সেতুর কাছে ট্রেন কিছুক্ষণ দাঁড়াত যাত্রীদের সুবিধার্থে। কিন্তু এখন রেল সেই ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে এই ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন অনেকেই। যদিও রেলের তরফে সহচালকের তৎপরতা ও সাহসিকতার প্রশংসা করা হয়েছে। তবে এক যাত্রীর চেন টেনে ট্রেন থামানো, কর্তৃপক্ষের দীর্ঘ অনুপস্থিতি এবং সেতুর ওপর ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রেল নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা নিয়েও। স্থানীয় প্রশাসন ও রেল কর্তৃপক্ষের তরফে ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে এই ঘটনায় সহচালক কুমার সৌরভ যে বিপদের মুখে পড়েও কর্তব্যে অবিচল থেকেছেন, তা যাত্রীদের মুখে মুখে প্রশংসার বিষয় হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন- বীরভূমের তৃণমূল কোর কমিটির আহ্বায়ক অনুব্রত: বৈঠকে ঘোষণা দলনেত্রীর

_
_

_

_

_
_
_

_

_
_
_