দামোদর উপত্যকার (Damodar Valley) জলাধারগুলি থেকে লাগাতার জলছাড়ায় চরম উদ্বেগে রাজ্য প্রশাসন। বৃহস্পতিবার থেকে পাঞ্চেত (Maithon) ও মাইথন (Panchet) মিলিয়ে মোট ৪৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। পাঞ্চেত থেকে ২৭ হাজার ও মাইথন থেকে ১৯ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার ফলে হুগলি, বাঁকুড়া ও পূর্ব বর্ধমানের একাধিক নিচু এলাকা ইতিমধ্যেই জলমগ্ন। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নবান্ন (Nabanna)।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের নির্দেশে সেচ দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ডিভিসিকে(DVC) কড়া ভাষায় চিঠি পাঠিয়েছেন। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, আগাম কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই জল ছাড়লে ভয়াবহ বিপর্যয় হতে পারে। আগামী ৩-৪ দিনে ঝাড়খণ্ড ও বিহারে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এমন অবস্থায় আরও জল ছাড়া হলে হুগলি, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমানের বিস্তীর্ণ চাষের জমি, জনবসতি ও পরিকাঠামোর উপর গভীর প্রভাব পড়তে পারে। রাজ্য জানিয়েছে, জল ছাড়ার আগে অন্তত রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে পরিকল্পিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
ডিভিসি সেই অনুরোধ মানছে না বলেই অভিযোগ। ফলে জলস্তর দ্রুত বেড়ে চলেছে নিচু অঞ্চলে। হুগলির আরামবাগ মহকুমা বিশেষভাবে বিপর্যস্ত। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপ্যাধ্যায় (Mamata Benerjee)। আগামী মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, আরামবাগ ও ঘাটালে যাবেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি সেখানকার বন্যা পরিস্থিতি স্বচক্ষে দেখে প্রশাসনিক স্তরে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দিতে পারেন।
প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, কেন্দ্রের আওতাধীন একটি সংস্থার এমন নির্বিচার জলছাড়া ও একতরফা সিদ্ধান্ত নিলে তার পরিণতি মারাত্মক হতে পারে। সেই কারণেই দ্রুত কেন্দ্রকে চিঠি পাঠানোর কথাও ভাবা হচ্ছে। রাজ্যের প্রশ্ন— একের পর এক সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে জল ছেড়ে রাজ্যে যদি বড়সড় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে তার দায় নেবে কে? আরও পড়ুনঃ সেদিনের ইংরেজ আজকের বিজেপি! নেতাজিকে অসম বিধায়কের সন্ত্রাসবাদী বক্তব্যে প্রতিবাদ তৃণমূলের
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–