মাঠেও নেই। ভোটেও নেই। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে শূন্যে ভেসে থাকা দলকে মাটির কাছাকাছি আনা যায় তার মরিয়া চেষ্টা বঙ্গের বাম নেতাদের। খড়কুটোর মতো শাসকদল তৃণমূলের সব ইস্যুই তারা আঁকড়ে ধরছে। তাই বাদ গেল না দিল্লি পুলিশের (Delhi police) বাংলাদেশি ভাষা অপবাদের ইস্যুও। দিল্লি পুলিশকে ‘অশিক্ষিত’ বলতেও কসুর করলেন না সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Mohammed Selim)।
বিজেপি রাজ্যে পরিকল্পিত বাঙালি হেনস্থার প্রতিবাদে শাসকদল তৃণমূলের পক্ষে সব শ্রেণির মানুষ গোটা রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদে সামিল হচ্ছে। সেই ইস্যুতে ফায়দা লুটতে মাঠে নেমে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে সরব সেলিম। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলিমের প্রশ্ন, অশিক্ষিত দিল্লি পুলিশ কি বলবে এই বাংলাদেশি ভাষাটা (Bangladeshi language) কী?
দিল্লি পুলিশের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দাবি করেন, কেন দিল্লি পুলিশ নিজের আধিকারিকদের সংবিধানের অষ্টম তপশিল সম্পর্কে শেখাতে পারেনি?
বাংলার বামেদের রসদ যোগাতে মাঠে নেমেছে সিপিআই ও সিপিআইএম দুই দল। সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা (D Raja) দাবি করেন, বাংলা ভাষাকে বাংলাদেশি ভাষা বলা বিজেপির ইচ্ছাকৃত ঘৃণার প্রকাশ। যে বাংলা ভাষায় জাতীয় সংগীত (National Anthem) ‘জন গণ’ রচিত হয়েছে, সেই বাংলা ভাষা ভারতের আর পাঁচটা ভাষার মতোই ভারতীয় ভাষা। ভারতের স্বাধীনতার রূপকার বাঙ্গালীদের ভাষাকে অপমান করার জন্য বিজেপি, অমিত শাহ এবং দিল্লি পুলিশের লজ্জিত হওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: অবজ্ঞা ও মূর্খামির চূড়ান্ত: বাংলা ভাষার উপর আক্রমণে সরব রূপম, সুরজিৎ
একইভাবে সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকেও দিল্লি পুলিশের এই শব্দ প্রয়োগের নিন্দা করা হয়েছে। কয়েক কোটি মানুষের মুখের ভাষা বাংলা ছাড়াও ত্রিপুরা, অসম ও অন্যান্য রাজ্যের মানুষের মুখের ভাষা, বলে দাবি করা হয় সিপিআইএমের তরফে। বাংলার মানুষের প্রতি বামেদের সমর্থনকে জোরালো করার প্রবল প্রচেষ্টা চালানো হয়।
–
–
–
–
–
–
–
–