শেষ হয়েও হইল না শেষ। যেটা ছোটগল্প হিসেবে থেকে যাবে বলে মনে করা হয়েছিল, হয়তো আগামীতে তা বড় এক উপন্যাস তৈরি করতে চলেছে। সোমবার নজরুল মঞ্চে দেব- শুভশ্রীকে (Dev and Shubhashree Ganguly) দেখার উন্মাদনা আর ‘ধূমকেতু’ (Dhumketu) জ্বরে কাবু শহরকে দেখে এটা মনে হওয়া মোটেই বাড়াবাড়ি নয়। গ্র্যান্ড ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানে দেব- শুভশ্রীকে নিয়ে মাতামাতি থাকবে এটা ভীষণ রকম কাঙ্ক্ষিত। কিন্তু দুজনে মুখোমুখি হলে কার প্রশ্নে কে কী উত্তর দেবেন বা কে প্রথম কথা বলবেন এটা নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন না দেব (অন্তত এর আগের প্রমোশনে তিনি সে কথাই জানিয়েছিলেন)। তাই হয়তো কিছু প্রেডিক্টেবল প্রশ্নে, এতদিন ধরে না বলতে পারা কথাগুলো অচিরেই উত্তর হয়ে বেরিয়ে এল। নিজের স্বভাবসিদ্ধ হাসিখুশি ভঙ্গিমায় মেগাস্টার কথোপকথন শুরু করলেও, লেডি সুপারস্টার কিন্তু তাঁকে বেশ কয়েকবার বাউন্সার দিয়েছেন। যেভাবে শুভশ্রী (Shubhashree Ganguly) বলে উঠলেন, দেব (Dev) তাঁর মতো আর কাউকে পাবেন কিনা, তখন কয়েক মুহূর্তের জন্য চুপ করে যান ‘ধূমকেতু’ অভিনেতা। ততক্ষণে অনুরাগীরা ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন পেশাদারিত্বের মাঝে কি ব্যক্তিগত অনুভূতি সত্যিই এসে ধরা দিল?
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় (Kaushik Ganguly) পরিচালিত ‘ধূমকেতু’ সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে স্বাধীনতার প্রাক্কালে (১৪ অগাস্ট) । দেব- শুভশ্রী বারবার বলেছেন এটা অন্য চার-পাঁচটা সিনেমার মতো নয়, এটা একটা আবেগ। দেবের প্রযোজনা সংস্থার (Dev Entertainment Ventures) প্রথম ছবি যা এত বছর পর বড়পর্দায় দেখতে চলেছেন দর্শক। তাই প্রমোশনের সব খুঁটিনাটি নিজেই দেখে নিচ্ছেন অভিনেতা। এভাবেই সোমবার সন্ধ্যায় নজরুল মঞ্চে নায়ক – নায়িকার একসঙ্গে আলাপচারিতার চিত্রনাট্য লেখা হয়েছিল। কিন্তু কোথাও গিয়ে আবেগ-অভিমান যেন বারবার প্রকাশ পেতে চাইল। অভিনয়টা দুজনেই দারুণ করেন, করলেনও বটে। কিন্তু অনুভূতিরা কি সব সময় বাধ্য হয়? প্রশ্ন ছিল দেবের বায়োপিকে থেকে শুভশ্রীর চরিত্রে কে অভিনয় করবেন? উত্তর দিতে গিয়ে প্রশ্নকর্তাকে পাল্টা প্রশ্ন করে দিলেন লেডি সুপারস্টার। জিজ্ঞেস করলেন, তাঁর মতো আর কেউ আছেন কিনা? এরপরই দেবকে (Dev) উদ্দেশ্য করে বললেন, ও আমার মতো আর কাউকে খুঁজে পাবে কি? ধূমকেতু (Dhumketu) অভিনেতা উত্তর দিতে খানিকটা সময় নিলেন। প্রথমে বললেন, “বায়োপিকটা আপাতত থাক।” তারপর দেবের (Dev) ডিফেন্সিভ ওয়ান লাইনার, “শুভশ্রীর চরিত্র শুভশ্রীই করবে।” সবটাই হল ভীষণ মজার ছলে। কিন্তু বোঝা গেল এক দশক পেরিয়ে গিয়েও আজও হয়তো অনুভূতিরা কথা বলে। তবে মনে যাই থাকুক না কেন, দুজনের পেশাদারিত্ব নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–