উত্তরকাশীর ঘটনার ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই এবার হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) হড়পা বান। চোখের নিমিষে ভেসে গেল সেতু। বিপর্যস্ত কিন্নর জেলা। সিমলায় চাক্কি মোড়ে ধস নেমে চণ্ডীগড়-শিমলা জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ, নিগুলসারির কাছে ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে টাঙ্গলিং নালার উপর একটি সাঁকো সম্পূর্ণভাবে ভেঙে গিয়েছে। কৈলাস ট্রেক রুটের (The Kailash Trek Route) দুটি অস্থায়ী সেতু ভেসে যায়। এখনও পর্যন্ত আটকে থাকা পর্যটকদের মধ্যে জিপলাইনের সাহায্যে ৪১৩ জনকে উদ্ধার করা গেছে। এনডিআরএফ এর সাথে যৌথ উদ্যোগে ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (ITBP) গোটা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে।
হিমালয় পার্বত্য এলাকায় একনাগাড়ে মেঘভাঙা বৃষ্টির (Himachal Pradesh Cloudburst) জেরে বুধবার সকালে আচমকাই হড়পা বান আসে। ওই সময় কয়েকশো পুণ্যার্থী ট্রেক করছিলেন। চোখের সামনে সেতু ভেসে যাওয়ায় আটকে পড়েন পর্যটকরা। দ্রুত ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়।পর্বতারোহণের বুট, ক্র্যাম্পন, আইস-অ্যাক্স, দড়ি, হারনেস ইত্যাদির সাহায্যে শেষমেশ জিপলাইনের মাধ্যমে নদী পার করিয়ে পুণ্যার্থীদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কিন্নর জেলার একাধিক এলাকা কার্যত বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। হিমাচল প্রদেশের কোনও কোনও জায়গায় ঘণ্টায় ১০০ মিমি বৃষ্টি হচ্ছে। সুকেতি নদীর জল ফুলে ফেঁপে মান্ডির অধিকাংশ ঘরে ঢুকে পড়েছে এবং বেশ কিছু হাইওয়ে এই মুহূর্তে জলের তলায়। অতিবৃষ্টিতে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রয়েছে মান্ডি। আরও ধস ও হড়পা বানের আশঙ্কায় বুধবার কিন্নর-কৈলাস যাত্রা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। হিমাচল প্রদেশ রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (HPSDMA) জানানো হয়েছে যে ৪৪৬টি রাস্তা, ৩৬০টি ট্রান্সফরমার (DTR) এবং ২৫৭টি জল সরবরাহ প্রকল্প বর্তমানে ব্যাহত। তিনটি জাতীয় সড়ক পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে জেরে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই আইটিবিপির উদ্ধার অভিযানের নানা দৃশ্য সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা হয়েছে (সত্যতা যাচাই করেনি বিশ্ব বাংলা সংবাদ)। হিমাচলের দুর্যোগে সোলান জেলা মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।চণ্ডীগড়-মানালি হাইওয়ে, চণ্ডীগড়-সিমলা জাতীয় সড়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। আপাতত দুর্যোগ কমার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে মৌসম ভবন।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–