স্বৈরাচারী বিজেপির পরিকল্পিত আক্রমণের মুখে ডবল ইঞ্জিন রাজ্যের দরিদ্র বাঙালি পরিবারগুলি। কেন্দ্রের নির্বাচনী ভোটার তালিকা সংশোধনীর (SIR) প্রতিবাদে যেভাবে বিরোধী দলগুলি একযোগে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে, সেভাবেই বাংলাভাষার অপমানের বিরোধিতা নিয়ে জোটের বৈঠকেও সরব তৃণমূল নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া নেতা অমিত মালব্যর নির্লজ্জ বাংলা অপমানের প্রতিবাদে বাঙালির অস্মিতা রক্ষায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন কংগ্রেস ও ডিএমকে নেতারা। বুধবার জোটের (INDIA) বৈঠক শেষেও এই ইস্যু তুললেন সাংসদ সাগরিকা ঘোষ (Sagarika Ghose)।
বিজেপির চক্রান্তে দেশের সাধারণ নাগরিকদের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার যে পরিকল্পনা চলছে, তার বিরুদ্ধে সংসদের ভিতরে ও বাইরে সরব বিরোধী INDIA। শুক্রবার নির্বাচন কমিশন (Election Commission) দফতর ঘেরাও অভিযান থাকলেও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (JMM) সাংসদ শিবু সোরেনের প্রয়াণে সেই পরিকল্পনা পিছিয়ে গিয়েছে। তবে কোন পথে বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলনে বিরোধী জোট – তা নিয়ে বুধবার আলোচনা জোটের শরিক দলগুলির। তৃণমূলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার (Kakoli Ghosh Dostidar), সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন (Derek O’Brien)।
বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করেন জোটের নেতারা। মূলত যে ইস্য়ুতে নির্বাচন কমিশনের বিরোধিতায় সরব হবেন জোটের সদস্যরা তা প্রকাশ করা হয়। প্রথমত, যে নথি চাওয়া হয়েছে ভোটার হিসাবে কোনও ব্যক্তিকে প্রমাণ করতে, সেই নথি আদৌ কতটা সম্ভব দেওয়া। এই নথিকে অসম্ভব বলে দাবি করে ইন্ডিয়া (INDIA)। দ্বিতীয়ত, যে সময়সীমার মধ্যে গোটা রিভিউ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার নিশ্চয়তা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন, তা অসম্ভব বলে দাবি করে ইন্ডিয়া।
সেই সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সাগরিকা ঘোষ (Sagarika Ghose) সেই বৈঠক থেকেই তুলে ধরেন, বাংলা ভাষার মানুষের বিজেপির পরিকল্পিত আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছে। মূলত পরিযায়ী শ্রমিক ও বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত দরিদ্র শ্রেণির মানুষকে সেখানে টার্গেট করা হচ্ছে। বাংলা বলার জন্য বাঙালিদের উপর এই অপমান কোনওভাবেই সহ্য করবে না শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস, স্পষ্ট করে দেন সাংসদ।
–
–
–
–
–
–
–
–
–
–