SIR-এর নামে বিহারে ভোটের তালিকা থেকে ৬৫ লক্ষ নাম বাদ গিয়েছে। এই নিয়ে এবার প্রশ্নের মুখে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। বুধবার, শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে জানতে চেয়েছে, এত ভোটারের নাম কেন বাদ দেওয়া হল, কারা বাদ পড়লেন? লিখিত আকারে কমিশনের কাছে তথ্য চাইল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।
বিহারের ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন নিয়ে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) মামলা করেছে। তাদের অভিযোগ, বিহারে ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ পড়েছে বলে জানাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। অথচ কারা বাদ তার বিবরণ দেয়নি। এমনকী রাজনৈতিক দলগুলিও ওই বাদ পড়া ভোটারের তালিকা পায়নি। মামলাকারীদের তরফের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বলেন, ৩২ লক্ষ ভোটার স্থায়ী ভাবে অন্যত্র চলে গিয়েছেন জানানো হচ্ছে। কিন্তু এ বিষয়ে অন্য কোনও বিবরণ দেওয়া হয়নি। ৬৫ লক্ষের মধ্যে কারা, কারা স্থায়ী ভাবে অন্যত্র চলে গিয়েছেন? কারা মৃত, এই সব তথ্য প্রকাশ করা উচিত। এদিন বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া এবং বিচারপতি এনকে সিংয়ের বেঞ্চ বলে, নিয়ম অনুযায়ী এই সংক্রান্ত তথ্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের দেওয়ার কথা কমিশনের।
নির্বাচন কমিশনের দাবি, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের যে সেই তথ্য দেওয়া হয়েছে। সেটা তারা আদালতে দেখাতেও পারবে। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, এ নিয়ে কমিশনের ব্যাখ্যা আদালতে জমা দিতে হবে। কোন কোন রাজনৈতিক দলকে কী কী তথ্য দেওয়া হয়েছে সেটা আদালতকে লিখিত আকারে জানাক কমিশন। ১২ অগাস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগেই কমিশনকে জবাব দিতে হবে।
এই মুহূর্তে বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের যে কাজ চলছে সেই প্রক্রিয়ায় কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া না হলেও আদালতের পর্যবেক্ষণ, কমিশনের কাজ চললেও আদালতের কাজে তাতে আটকে থাকতে পারে না। কমিশনকে ব্যাপক হারে মানুষকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার বদলে ব্যাপক সংযুক্তির পর্যবেক্ষণ জানায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চ। মামলার পরবর্তী শুনানি মঙ্গলবার।
সোমবার এই মামলায় বিচারপতি প্রথমেই প্রশ্ন তোলেন আধার ও এপিক কার্ড ভোটারের পরিচয় হিসাবে গ্রহণ করা নিয়ে যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল তা কেন গ্রহণ করা হয়নি। কমিশন যে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ পুরোপুরি এড়িয়ে গিয়েছে, তা তুলে ধরেন এডিআর-এর আইনজীবী। কমিশন দাবি করার চেষ্টা করে এপিক কার্ড সবকিছুর প্রমাণ নয়। সেখানেই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি জানান, কমিশন যে নথিগুলি চেয়েছে সেগুলি একটাও সম্পূর্ণ প্রামাণ্য নথি নয়। সেক্ষেত্রে ভোটার তালিকায় যুক্ত হতে কেউ আধার আপলোড করলে তা কেন গ্রহণ করবে না কমিশন, প্রশ্ন আদালতের।
–
–
–
–
–
–
–
–