ইংরেজ শাসনে বিভেদনীতি এনে বাংলাকে ভাগের চক্রান্ত ও দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুর মানসিকতা তৈরিকে রুখে দিতে পথে নেমেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রাখি (Rakhi) পরিয়ে সেদিন বাঙালির সৌভ্রাত্ব গড়ে তুলেছিলেন তিনি। বাঙালির কাছে রাখি বন্ধনের দিন তাই ধর্ম-বর্ণ-জাতি-লিঙ্গ নির্বিশেষে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার দিন। ব্রিটিশ শাসনের সময়ে যেভাবে সেই সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তোলার মধ্যে দিয়ে বাঙালির চিরন্তন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, বর্তমান প্রেক্ষিতেও সেভাবেই রাখি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেভাবে বাঙালির এক একটি ধর্মীয় সম্প্রদায় থেকে জাতি, এমনকি আঞ্চলিক ভাষার মধ্যে বিভেদের পাঁচিল তুলতে চাইছে বিজেপি, সেখানেই নিজেদের সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে ফের একবার মনে করিয়ে দিল দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ। এই প্রেক্ষিতে ‘গণমঞ্চ বার্তা’ (Ganamancha Barta) প্রকাশ করে তাঁরা তুলে ধরলেন কীভাবে বিজেপির মাধ্যমে প্রকাশিত হিংসা দ্বেষের রাজনীতি পুষ্টি পেয়ে এসেছে আরএসএস-এর (RSS) হাত ধরে।
রাখির দিন রাখি বন্ধন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শনিবার সৌভ্রাতৃত্বের বার্তার প্রচার করেন দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের (Desh Bachao Ganamancha) সদস্যরা। সেই সঙ্গে প্রকাশিত হয় ‘গণমঞ্চ বার্তা’র বিশেষ সংখ্যা। আর সেখানেই তুলে ধরা হল সাম্প্রতিক সময়ে গোটা দেশজুড়ে ধর্মীয় অস্থিরতা তৈরির বিজেপির পরিকল্পনার পিছনে রয়েছে আরএসএস-এরই ইন্ধন। স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময় থেকে যেভাবে আরএসএস ব্রিটিশকে ইন্ধন যুগিয়ে দেশভাগে, এবং সর্বোপরি ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগে প্রভাবিত করেছিল, সেই একই ছবি বর্তমান সময়েও দেশ জুড়ে। শুধু সেখানে নেতৃত্বে আরএসএস নয়, নেতৃত্বে বিজেপি।
আরও পড়ুন: কীসের দায় মোদির: ট্রাম্পের শুল্ক চাপানোর পরেও মার্কিন সামগ্রী কেনাতেই নজর ভারতের!
এই পরিস্থিতিতে শতবর্ষ উদযাপন করছে আরএসএস। যার ফল ভোগ করছে বাংলার মানুষ। ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে শুধুমাত্র ভাষার কারণে হিংসা ও বিদ্বেষের শিকার হতে হচ্ছে বাঙালিদের। গোটা দেশে ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রের বাস্তব পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে আরএসএস ও তার সহযোগী শক্তিগুলিকে পরাজিত করার বার্তা দেওয়া হয় গণমঞ্চের তরফে। তাঁদের পত্রিকার মাধ্যমে। আরএসএস-এর ইতিহাস, উত্থান থেকে বর্তমান কার্যক্রম বিশদে তুলে ধরা হয়। সেই সঙ্গে যে বিজ্ঞান, জাতীয়তাবাদ নিয়ে আরএসএস নেতারা প্রকাশ্যে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে, আরএসএস-এর সেই বিজ্ঞান চিন্তা, জাতীয়তাবাদের প্রতি চিন্তার স্বরূপ তুলে ধরা হয় পত্রিকার মাধ্যমে।
–
–
–
–
–
–